কোটা আন্দোলনকারীরা জনজীবনকে জিম্মি করে আইনি পন্থায় না গিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করছে, যা অনভিপ্রেত ও সম্পূর্ণ বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বুধবার (৯ জুলাই) শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরে সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি সম্মান রাখার আহবান জানিয়েছিলাম। জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে, তাই আনোদালন পরিহার করতে বলেছিলাম। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি, বিষয়টি নিয়ে আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও তার প্রতি কোনো রকম সম্মান প্রদর্শন না করে তথাকথিত বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি দিয়ে মানুষের জীবন যাত্রা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক স্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছে। বিএনপিসহ কিছু দল প্রকাশ্যেই কোটা আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে, এটাকে রাজনীতিকিকরণ করা তারাই শুরু করেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ফাঁদে ফেলে তাদের অতীতের আন্দোলনের ব্যর্থতা পেছনে রেখে তারা নতুন করে আন্দোলন করার পায়তারা করছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, অবাক লাগে, মির্জা ফখরুল প্রকাশ্যেই বলছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার কোনো দরকার নেই। এতে থেকে বোঝা যায় এদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কোনো সম্মানবোধ নেই। তারা বিশ্বাসী এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই ছিল তার প্রমাণ তারা নতুন করে রাখলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আমাদের পবিত্র সংবিধানের অভিভাবক উল্লেখ করে কাদের বলেন, এই সংবিধানই দেশের সর্বোচ্চ আইন। সর্বোচ্চ আদালত যখন সরকার পক্ষ, আন্দোলনকারী ও মামলাকারী সবার বক্তব্য শুনে এই বিষয়ের চূড়ান্ত বিচারিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে ঠিক সেই মুহূর্তে আন্দোলনের নামে জনগণের চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করা বেআইনি।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আন্দোলনকারীদের অনেকে সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।