বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে সরকার পতন আন্দোলনে গুলিতে আহতদের দেখতে এসে তিনি এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কোন দেশের কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিবেন তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। চেয়ারপারসন কোথায় চিকিৎসা নিবেন সেটা নির্ভর করছে তার শারীরিক অবস্থার ওপর। তবে খুব শিগগিরই তিনি বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন।
আহত রোগীদের খোঁজ নিয়ে অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এই হাসপাতালে আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ ও চোখে আঘাত পাওয়া ৭৪০ জন ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসা শেষে সবাই বাড়ি ফিরলেও এখনো ৫২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখানে আহতের মধ্যে সবার চোখে গুলি লেগেছে। আমরা জানতাম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি হাঁটুর নিচে করে। আপনারা যেমন আবু সাঈদকে দেখেছেন তেমনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের মাথা লক্ষ্যে করে গুলি করেছে। একেকজনের শরীরে ৫০ থেকে শতাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। এইসব রোগীদের চিকিৎসা আগামী ছয় থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত করা লাগতে পারে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে আজকে আহত রোগীদের দেখতে এসেছি, তাদের সহমর্মিতা জানাতে। এবং তাদের সুষ্ঠু চিকিৎসা যাতে নিশ্চিত করা হয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। সামর্থ্য অনুযায়ী আহতদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।