বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ভারত বন্ধু রাষ্ট্র হলে অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করবে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রবাস অনলাইন বিএনপি গ্রুপের উদ্যোগে শেখ হাসিনার শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, এতো সুখ আপনার থাকবে না। যত শান্তিতেই ভারতে থাকেন না কেন বাংলাদেশের জনগণ বাংলার মাটিতে আপনাকে আনবে এবং বিচার করবে। আপনি বিএনপির অসংখ্য নেতাকে গুম করেছেন। আপনার বাহিনী দিয়ে দেশের অসংখ্য জনগণ, ছাত্রদেরকে হত্যা করেছেন। মামলা সবে শুরু হয়েছে। আরও মামলা হবে। বাংলার মাটিতে আপনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
ভারত সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভারত যদি বন্ধু রাষ্ট্র হও। মোদি সরকারের কাছে অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করুন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ১৬ বছর যারা অন্যায় অবিচারের শিকার, তাদেরসহ ছাত্র-জনতা হত্যার বিচারের দাবি করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তার জন্য জাতীয়তাবাদী শক্তির সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আনসারদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন রাখেন, গত ১৬ বছরে আপনাদের দাবি কোথায় ছিল? ডক্টর ইউনূস ক্ষমতায় বসার পর আপনাদের দাবির মধ্য থেকে গুলি আসে কেন? কারা এরা? আপনাদের গায়ে নতুন জামা কেন? কারা অর্থ দিয়েছে এসব তদন্ত করে বের করতে হবে।
বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনার বিচার দেখে যেতে না পারলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার সার্থকতা আসবে না বলেও মন্তব্য করেন জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় বসেছে মাত্র ২১ দিন। এর মধ্যে ঢাকা শহরটাই যেন দাবির ভূমি পরিণত হয়েছে। এই লোক (ডক্টর ইউনুস) মাত্র বসেছে। এখনো শেখ হাসিনার জঞ্জাল মুক্ত করতে পারেনি। কালপিট ইউপি চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত করার সময় পাচ্ছে না। একটু সময় তো তাকে দিতে হবে।
ডক্টর ইউনূসের কাছে দাবি জানিয়ে বিরোধীদলের সাবেক এ চিফ হুইপ বলেন, আপনার ওপর যে অন্যায় হয়েছে এগুলো আপনি প্রতিশোধ নেবেন না জানি। তবে আমরা ১৬ বছরে আট বছর জেল খেটেছি। হারুন, বিপ্লব, বেনজির, আসাদের মত পুলিশ অফিসার আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় ঢুকে তাদের স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে গ্রেফতার করেছে। এদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামান, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা নেছারুল হকসহ আরও অনেকে।