ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কে ক্ষমা চাইতে হবে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আপনারা মন্ত্রী আমিও কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। আপনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেজন্য আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মন বড়। তারা ক্ষমা করতে জানে। সুতরাং বাংলাদেশ নিয়ে তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দিবেন না সেটা কেউ মেনে নেবে না।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ ভারতের আগ্রাসী বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ নানারকম সংকটে পড়েছে। তবুও সেখানকার মানুষ বলে এখনো কেনো শেখ হাসিনার বিচার হচ্ছে না। এই একমাস ৫ দিনে শেখ পরিবারের কাউকে বিচারের আওতায় আনলে মানুষ বিশ্বাস করতো। আমরা আপনাকে বিশ্বাস করি। জনগণ বিশ্বাস করে। কিন্তু তারা প্রশ্ন তুলছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলবো অপরাধীরা কোথায়?
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা একটা নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নিন। আজকে দেশবাসী সবাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা যাতে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে না পারে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রুপরেখা নিয়ে আগামীতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপা'র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন শামসুদ্দিন ফারভেজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এড. সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।