রাজনৈতিক সরকারের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন দেরি হলে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। তাতে করে আওয়ামী লীগের লোকজন অপকর্ম করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, গণহত্যার সহকারীদের রেখে কোন পরিবর্তন টেকসই হবে না। ঘাড়ে ধাক্কা না দিলে দেশে কোনো পরিবর্তন হয় না। কারণ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়নি।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করতে হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর নানা ইস্যুতে অস্থিরতা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয় জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, পালিয়ে যাওয়া সরকারের দোসররা দেশে অস্থিরতা করে বর্তমান সরকারকে বিপাকে ফেলতে চাইছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে এখনো বসে আছে আওয়ামী লীগের দোসররা। ছাত্র-জনতা হত্যাকারীদের সরকারের বিভিন্ন স্তরে বসিয়ে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না। সরকার যাতে স্বস্তিতে কাজ করতে না পারে তার জন্য একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে চলছে স্বৈরাচারের দোসররা।
সংকট সমাধানে অন্তবর্তী সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত আলোচনার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের বিষয়গুলো দেশের মানুষের প্রত্যাশা থেকে পূরণ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। সংস্কার চাপিয়ে দেওয়া নয়, এটা সবার কাছ থেকে মতামত আসা উচিত।
বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার চেষ্টা দেশের জন্য মঙ্গল নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধান পরিবর্তন-পরিমার্জন করতে হলে জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে, না হয় এ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
বাসায় ফিরলেও ‘বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ নন’ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, উনাকে ডাক্তাররা এখন পর্যন্ত ফিট টু ফ্লাইং, এটা মনে করছেন না। সেজন্য উনাকে বিদেশে নিতে বিলম্ব হচ্ছে।