ফেনীতে ফের সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ১৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত দুইদিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযানে সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আমজাদ হোসেন কিরন (৪৩), সোনাগাজী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হেদায়েত উল্যাহ (৪০), পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মহি উদ্দিন চৌধুরী (৫০), ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম দেবপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী রবিউল হক (৬৫), একই গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মো. শাহাদাত হোসেন (৩০), ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহান (৪৫), বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (৩০) ও বালিগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুরুল করিমকে (২৩), ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ আলম মিন্টু (৫৯), ফেনী পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান দিদার (৪৫), ফুলগাজীর আমজাদহাট ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মামুন (৪২), আমজাদ হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম (৪২), একই ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামের আওয়ামী লীগের কর্মী মো. আক্কাস আলী (৬৩), দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মো. নুব নবীকে (৬৩) গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, আন্দোলনে হামলা ও হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে ১৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।