জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মীর আব্দুস সবুর আসুদ বলেছেন, একটি চক্র ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে জাতীয় পার্টিকে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষের দল হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যে ছাত্রদের আন্দোলনে আমরা সমর্থন দিয়েছি, আমাদের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকা হয়। সামাবেশ শেষে মিছিলটি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের গিয়ে শেষ হয়।
তিনি আরও বলেন, সেই আন্দোলনের হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরসহ জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীদের আসামি করা হচ্ছে। এরচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারে না। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানসহ সকল নেতা-কর্মীদের নামে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। জাতীয় পার্টি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই জাতীয় পার্টি সক্রিয়ভাবে আন্দোলনরত ছাত্রদের পক্ষে ছিলো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়ার কারণে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রংপুরে মামলা হয়েছে পার্টির পদ পদবি উল্লেখ করে। আমাদের নেতা-কর্মীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়ার কারণে গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করেছে। ১ জুলাই ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করলে, আমাদের জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ৩ জুলাই সংসদে তখনকার প্রধানমন্ত্রীর সামনে ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে বক্তৃতা করেছেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল হামিদ ভাসানী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হেলাল, প্রচার সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম সাংগঠনিক মো. হেলাল উদ্দিন, এম এ সোবহান, যুবনেতা- দ্বীন ইসলাম শেখ, ইউসুফ লস্কর, সাব্বির আহমদ, ফারুক আহমেদ, আয়নাল হোসেন, ডালিম মিয়া প্রমুখ।