আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিনের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে এই মশাল মিছিল করে দলটি। এ সময় দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রায় পঞ্চাশের অধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলটি গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি ঘুরে আবার এখানে এসে শেষ হয়।
মশাল মিছিল থেকে 'আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে' 'শহীদের রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না' 'রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়' 'আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না' 'খুনি কেন বাহিরে, প্রশাসন জবাব দে' সহ নানা স্লোগান দেয়া হয়।
মিছিল শেষে বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, সরকারের মধ্যে শেখ হাসিনার দালালেরা কারা কারা লুকিয়ে আছে আমরা জানতে চাই। তাদের কিভাবে জামিন হলো? তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এদেশের ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ জন্য তাদের বিচার হবে না?
আওয়ামী লীগ নেতাদের জামিনের পেছনে কোনো উপদেষ্টাদের ইন্ধন রয়েছে, ইশারা রয়েছে। এমনি এমনি জামিন হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, কোনো ভাল মানুষ, বিবেকবান মানুষ শেখ হাসিনার সাথে ছিলো না। যারা তার সাথে ছিলো তারা কোনো মানুষই না।
এই দেশের মানুষ রক্ত, জীবন আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য দেয় নাই উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শহীদের রক্তের ইতিহাস সমুন্নত রাখার জন্য যদি এই সরকারের বিরুদ্ধে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান করতে হয় করবো কিন্তু আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন মেনে নিবো না।
এই সরকারকে যারা রাষ্ট্র সংস্কারের আগে টেনে হিচড়ে নামাতে চাইবে আমাদের অবস্থান তাদের বিরুদ্ধে বলেও যোগ করেন তিনি।
আলী ইমাম মজুমদার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে লিপ্ত হয়েছেন উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। তিনি এক এগারোর দোসর। তিনি কিভাবে উপদেষ্টা হলেন, সে প্রশ্ন রাখছি।
আওয়ামী লীগের দালালরা আসিফ নজরুল স্যারের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা তাকে চিনি, জানি। যারা তার চরিত্র হননের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।