সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেও শেষ রক্ষা হয়নি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শমেস উদ্দিন বাবুর। তার নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন কৌশলী এই নেতা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বাবুর গ্রেফতারের বিষয়টি মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বুলবুল ইসলাম।
এরআগে গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শমেস উদ্দিন বাবু বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের মৃত ওসমান গণির ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার অসহযোগ আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে আ.লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। এছাড়া একে একে গ্রেফতার হন অনেক নেতাকর্মী। তবে গ্রেফতার কিংবা পালায়নি শমসের বাবু। তিনি গত ২৭ আগস্ট নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে আ.লীগের সদস্য ও সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করেন। কারণ হিসেবে অসুস্থতা দেখিয়ে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে ওই সময় একটি ঘোষণা পত্রেও স্বাক্ষর করেন আ.লীগের প্রভাবশালী এই নেতা। শমসের বাবু ২০২১ সালে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক (নৌকা) নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বান্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
গাইবান্ধা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বুলবুল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বামনডাঙ্গা রেল স্টেশন এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে শমেস উদ্দিন বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় গাইবান্ধা সদর থানার বিস্ফোরক মামলার আসামি।
ওসি আরও জানান, গ্রেফতারের পর তাকে গাইবান্ধা ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। ওই মামলায় শমসের বাবুকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।