পাবনার সুজানগর উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এর জেরে ইতোমধ্যে গোলাগুলিও হয়েছে। এবার আরেক সহিংসতার আশঙ্কায় সাগরকান্দি ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
একই স্থানে একই সময়ে বিএনপির দু’পক্ষ সমাবেশের ডাক দেওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাগিরকান্দি বাজার, খলিলপুর, শ্যামগঞ্জ এবং তালিমনগরে ১৪৪ ধরা জারি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ।
জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম মোল্লা এবং স্থানীয় যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন দু’টি পক্ষ সাগিরকান্দি বাজারে পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ডাক দেয়। এই নিয়ে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেখানে এই দুই পক্ষের একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আব্দুস সালাম মোল্লা কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের এবং তরিকুল ইসলাম পাবনা-২ আসনের সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিবের সঙ্গে রাজনীতি করেন।
ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি দু’টি পক্ষ সেখানে সমাবেশ ডেকেছে। দুই দিন আগেও সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সমাবেশটি কে বা কারা ডেকেছে স্বীকার করছে না, তারা থানায় বিধি মোতাবেক অবহিত করেনি। তাই স্থানীয়ভাবে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সেখানে জননিরাপত্তার হুমকি আছে বিধায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে আমরা কয়েক দিন আগে প্রশাসনকে অবহিত করেই সমাবেশ ডেকেছি। কিন্তু আজ প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
তবে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম মোল্লা দাবি করে বলেন, আমরাই আগে থানা পুলিশকে অবহিত করছিলাম সেখানে সমাবেশ করব। এরপর তারা (বিএনপির আরেক পক্ষ) সমাবেশ ডেকেছে। এখন প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।