বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তিনি ইতিমধ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানকে অপমানিত করেছে, স্বৈরাচারীদের, ষড়যন্ত্রকারীদের সাহস যুগিয়েছে, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তাকে বিদায় না করলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র করছে পার্শ্ববর্তী দেশ এবং শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয় এদেশেও কিছু কুলাঙ্গার আছে যারা বাংলাদেশকে অন্য দেশের হাতে তুলে দিতে চায়। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য দেশনায়ক তারেক রহমান গত ১৭ বছর যে লড়াই করেছে অন্য কোন রাষ্ট্রনায়ক এরকম লড়াই করেছে বলে আমার মনে হয় না। এই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি তার জীবনকে বিপন্ন করেছেন। তার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি তার জীবনকে বিপন্ন করেছেন। জেল খেটেছেন। তারপরও তিনি এই দেশ নেতাকর্মীদের ছেড়ে চলে যান নাই। তিনি প্রতিনিয়ত আন্দোলন সংগ্রামের জন্য নেতাকর্মীদেরকে সাহস যুগিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পতন ঘটালেই সবকিছু হয়ে যাবে এটা কিন্তু ঠিক না। স্বৈরাচারীর পতন হয়েছে কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা অত্যন্ত তৎপর তাদের হাতে ব্যাংক লুটের টাকা আছে। রাষ্ট্রের টাকা জনগণের টাকা লুট করে রেখেছে। তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে। সেই লুট করা টাকা এবং অবৈধ অস্ত্র দিয়ে তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় এবং তারা স্বৈরতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চায়। সেজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কৃষক দল নেতা এস কে সাদী, সম্রাট, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন, কারী আবু তাহের সহ প্রমুখ।