বাংলাদেশে এখন থেকে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নয়াপল্টনে জাতীয় বিপ্লব ও গণসংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গণ র্যালি শুরুর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
র্যালি শুরুর আগে কোরআন পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মো. সেলিম রেজা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর শেখ হাসিনা তার দোসর বাহিনী দিয়ে এই দেশে লুটপাট করে খেয়েছিল। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সর্বশেষ ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তার দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। আমরা যে কোন অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রস্তুত আছি। এর জন্য আমরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ভবিষ্যতে থাকব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহান বিপ্লব ও গণসংহতি দিবস উপলক্ষে আজকের এই র্যালি। এই র্যালিতে আমরা এটাই প্রমাণ করবো যে বাংলাদেশে সব থেকে বড় রাজনৈতিক শক্তি হচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ৭ নভেম্বর বিপ্লবি গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক জিয়াউর রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন ৭ নভেম্বরের আগে খালেদ মোশাররফ এক অভ্যুত্থান করেছিল। তারপরই জিয়াউর রহমান দেশের সার্বভৌমত্বকে ফিরিয়ে আনতে ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতাকে নিয়ে এই আন্দোলন করে দেশকে মুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, যেভাবে ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের হাল ধরেছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তার পর হাল ধরেছিল বেগম খালেদা জিয়া আর এখন হাল ধরেছে তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতাম সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় র্যালি উদ্ভোধন করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। র্যালি শুরুর আগে কথা বলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ঢাকা মহানগর ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।