খালেদাকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 08:04:14

খালেদাকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় সচিবালয়ে নিজ দফতরে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, 'বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার জন্য। খালেদা জিয়া কিংবা কোন বন্দিকে মুক্তি দেয় এখতিয়ার সরকারের নেই। খালেদা জিয়া সহ যেকোনো বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের। রিজভী আহমেদ বারবার একই আহ্বান জানিয়ে প্রকৃতপক্ষে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। আইন আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছেন। তার কথায় মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করতে হবে। সুস্পষ্টভাবে তার কথার মাধ্যমে তিনি আইন-আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।'

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'যেকোনো বন্দী যদি তার দোষ স্বীকার করে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে মার্জনা প্রার্থনা করেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি মার্জনা করে তাকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। রিজভী আহমেদ ও বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের এগোতে হবে। আর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে না গিয়ে যদি অন্য কোন পথে খালেদা জিয়ার মুক্তি চান সেটি সম্ভবপর নয়। তাদের কাছে আরেকটি পথ খোলা আছে সেটি হলো খালেদা জিয়া তার দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। তাহলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা প্রার্থনা করে তাকে মুক্তির ব্যবস্থা করতে পারেন। এর বাইরে কোন সুযোগ নেই।'

বিএনপি-জামায়াত আলাদা হচ্ছে গণমাধ্যমের এমন সংবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'বিএনপি-জামায়াত আলাদা হয়ে যাচ্ছে এই খবর বেরিয়েছে। কিন্তু খবরের ভেতরে দেখলাম জামায়াত প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ বিএনপি চায় না তাদেরকে ছাড়তে। বিএনপি যদি তাদের ত্যাগ করে বলে, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে আমরা নির্বাচন-আন্দোলন করে ভুল করেছি। আমাদের উপলব্ধি হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের দল তাদের সঙ্গে আমরা থাকবো না। এই ঘোষণা দিয়ে বিএনপি জামায়াতকে ছেড়ে অতীতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে জামায়াতকে তাদের জোট থেকে বের করে দিলে আমরা বিএনপিকে সাধুবাদ জানাবো।'

জামায়াতের সঙ্গে বিচ্ছেদ বিএনপির কৌশল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এটা বিএনপি'র কৌশল হতে পারে। অনেক প্রেম যখন খুব গভীর হয় তখন সমাজ থেকে তারা যখন বাধাগ্রস্ত হয় তখন প্রেমিক-প্রেমিকা নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করেন। এটাও তাদের মতো কোন কৌশল কিনা সেটা দেখার বিষয়।'

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, 'ডাকসু নির্বাচনে শুরু থেকে হলে হলে ভোটকেন্দ্র ছিল। বিএনপি যেমন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন আবদার করে। তেমনি ছাত্রদলও বিভিন্ন দাবি করছে। ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হলে হলে ভোট চলছে। ডাকসু সৃষ্টির পর থেকে। এবারও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হলে হলে ভোট হবে জানিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ বিএনপির ছাত্র সংগঠন বিএনপির মতো আবদার করছে। এটি ডাকসুর গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর