পতিত হাসিনা সরকার জাতির সঙ্গে যা করেছে তার বিচার না হলে জাতির সঙ্গে অপরাধ করা হবে। কিন্তু এ বিষয়ে তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। আপনাদের সরকার গঠন হওয়ার পরও ফ্যাসিস্ট রেজিমের মন্ত্রী, এমপি, দালাল পাবলিক সার্ভেন্ট, এলাকার নেতা-কর্মীদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ পেয়েছে। অনেকে দেশেই আত্মগোপনে থেকে জনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কেন তাদের পালানোর সুযোগ দেওয়া হলো? কেন দেশে থাকা অপরাধীদের আটক করা হচ্ছে না? বিচারে কোনো অবহেলা বা আপোষ দেশবাসী কোনোদিন ক্ষমা করবে না।
বরিবার (১৭ নভেম্বর) ইসলামী আইনজীবী পরিষদের উদ্যোগে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এর পক্ষে মত দিয়েছে। ক্ষমতা যাতে কোনো একক কোনো দলের হাতে একীভূত না হয়, সেজন্যই পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন। রাজনৈতিকভাবে স্বৈরাচারবিরোধী তেমনি মানসিক ও পদ্ধতিগতভাবেও স্বৈরতন্ত্রবিরোধী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেক আতিয়ার রহমান, অ্যাডভোকেট আমেল খান চৌধুরী, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ লুৎফুর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন ভুইয়া, সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মিলন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ, অ্যাডভোকেট জমারত আলী, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন মজুমদার, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট বায়েজিদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট জিএম নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট মাওলানা হাছিবুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ।