চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পরিচালিত গণহত্যায় জড়িত মূল হোতাদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিজয় র্যালি পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আল্টিমেটাম দেন।
শিবির সভাপতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে যেভাবে ছাত্র-জনতা অংশ নিয়েছিল, মাঠে নেমেছিল। আমরা চাই স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসে সেই যাত্রা শুরু হোক। তার প্রথম সূচনা হতে হবে ২৪ যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এর মূল হোতা যারা ছিল তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ চাই। যেখানে সব নাগরিক তার অধিকার ফিরে পাবে। ৫৪ বছর পর আমরা সেই স্বপ্ন দেখতে চাই। যেখানে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ নিয়ে পথ চলতে পারবো।
তিনি বলেন, পিলখানার ঘটনার মধ্য দিয়ে ৩৬ ঘণ্টার ব্যবধানে সেনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ৩৬ ঘণ্টায় ৭৪ জনকে হত্যা করেছে হাসিনা এবং তার মাফিয়া গংরা। এই খুনি হাসিনা তার দোসরদের, তার সহযোগীদের, তার অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ এক সন্ত্রাসী মূলকেন্দ্র বানিয়েছিল শিক্ষাঅঙ্গনকে। যে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা আধিপত্যবাদী তাবেদারীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবো না, এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে আমার জাতির সন্তানদেরকে তারা ধ্বংস করেছে। বিগত ৫৪ বছরে আমাদের সবচাইতে বড় ক্ষতির জায়গা হলো আমাদের সংস্কৃত তারা ধ্বংস করেছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার মূল কথা ছিল ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে পরিচালনা করা কিন্তু সেই ঐক্য বিনষ্টে আওয়ামী দুঃশাসন বাকশাল স্বৈরশাসক এদেশের মানুষের মধ্যে এক বিভেদের দেয়াল চাপিয়ে দিয়ে এই জাতিকে খণ্ড বিখণ্ড করে দেওয়া দিয়েছে।
শিবির সভাপতি বলেন, ভারতীয় আগ্রাসন আধিপত্যবাদ বিশ্বের বিভিন্ন আগ্রাসন এই জাতিকে নানা দিক থেকে ঘিরে রেখে অগ্রযাত্রায় বারবার থামিয়ে দিয়ে তারা এ জাতিকে পিছিয়ে ফেলেছে। আমরা চেয়েছিলাম একটি মানবিক দেশ, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। আমরা দেখেছি বিগত আওয়ামী দুঃশাসন তার আগে বাকশাল। সবকিছুর মূলে ছিল কেউ তার মত প্রকাশ করতে পারবে না। মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মিডিয়ার টুটি চেপে ধরে শুধুমাত্র নিজেদের দলীয় গুণগান ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাইনি।
শোভাযাত্রায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্র, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।