‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি নিয়ে তোফায়েল এর স্মৃতিচারণ

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

ঢাবি করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 22:20:13

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ।

শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। ‘বঙ্গবন্ধু' উপাধির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে টিএসসি ভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

‘বঙ্গবন্ধু' উপাধি দেওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ এ সহচর বলেন, ‘১৯৬৯-এর ৪ জানুয়ারি ডাকসুর ভিপি হিসেবে আমার সভাপতিত্বে এবং সতীর্থ ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করে ১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করি। এরপর ১৭ জানুয়ারি যে আন্দোলন আমরা শুরু করি, ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদের রক্তাক্ত জামা হাতে নিয়ে যে শপথ গ্রহণ করি, ২৪ জানুয়ারি মতিউর-মকবুল-রুস্তম-আলমগীরের রক্তের মধ্য দিয়ে সেই আন্দোলন সর্বব্যাপী গণঅভ্যূত্থান সৃষ্টি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৯ ফেব্রুয়ারি শপথ দিবসে পল্টন ময়দানে সভাপতির ভাষণ শেষে স্লোগান তুলি, শপথ নিলাম শপথ নিলাম মুজিব তোমায় মুক্ত করব। ১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি ড. শামসুজ্জোহা নিরাপত্তা বাহিনীর বুলেটে নির্মমভাবে নিহত হলে বাংলার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ২১ ফেব্রুয়ারি পল্টনের মহাসমুদ্রে আমরা শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্বৈরশাসকের উদ্দেশে আলটিমেটাম দেই। জনরোষের ভয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব সরকার মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুসহ সব রাজবন্দীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষাধিক জনতার সামনে আমি তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করি।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দেখতে দেখতে অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেল। প্রিয় নেতা (শেখ মুজিবুর রহমান) তাঁর যৌবনের ১৩টি মূল্যবান বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছেন। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসে যে নেতা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলার ছবি হৃদয় দিয়ে এঁকেছেন, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন, সেই নেতাকে সেদিন জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। দিনটি আমার জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় দিন, সমস্ত বাঙালির জীবনে স্মরণীয় দিন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি এসএম রাকিব সিরাজীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় টিএসসি ভিত্তিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর