আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা জেলে রাখতে চাই না। কিন্তু এখানে আইন আদালতের বিষয়, আমরা কী করব বলেন? তবে আপনাদের দুঃশাসনের জন্য, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার না করার জন্য, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য, বেগম খালেদা জিয়া যে পাপ করেছেন, এখন সেই পাপ ভোগ করছেন। জানি না, কবে এই পাপ মোচন হবে। তবে আশা রাখুন, সংসদে আসুন, কথা বলুন, আমরা নিশ্চয়ই আপনাদের সহযোগিতা করতে চাই।'
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী এম এ জলিলের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘দেশ আজ গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে পার হচ্ছে। নির্বাচনে যারা পরাজিত হয়েছিল, তারা সব সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। আমরা তো চাই নাই তারা এভাবে পরাজিত হোক। আমরা চেয়েছিলাম, পার্লামেন্ট নির্বাচনে জোর প্রতিযোগিতা হোক। আমরা নির্বাচনের দুই মাস আগে থেকে প্রস্তুত ছিলাম, এ পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপির সাথে জোর প্রতিযোগিতার জন্য। কারণ এদেশে আওয়ামী লীগের একমাত্র বিরোধী শক্তি বিএনপি। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে কী কারণে ২৪ ঘণ্টা আগে মাঠ ছেড়ে তারা চলে গেল, তা আমরা এখনও বুঝতে পারিনি।'
শহীদ জাতীয় নেতা শহীদ মনসুর আলীর এই উত্তরসূরি বলেন, আমরা সব সময়ই চাই, এদেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক। বিরোধী দলহীন দেশ আমরা চাই না। আমরা এক সময় বিরোধী দল থেকেই ক্ষমতা এসেছিলাম। ১৯৯৬ সালে আমরা বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করে রাস্তাপথ কাঁপিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলাম। আপনারা এ পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ না করে জেনে শুনে ভুল করছেন। পার্লামেন্টে আসেন, সরকারের ভুল ধরেন। সরকারকে সঠিক রাখতে আপনাদের পার্লামেন্টে আসা উচিৎ। মির্জা ফখরুল পার্লামেন্টে আসেন, আমরা নিজ থেকে স্বাগত জানাব।'
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে বিজয়ী হলো তাদেরকে সংসদে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদেরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে। তারা আটজন হোক, ১০ জন হোক, পার্লামেন্টে আসুক। তারা আসলে সরকার সব সময় আতঙ্কে থাকবে।
কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।