সেনাবাহিনীকেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার: মির্জা ফখরুল

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 10:05:15

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'সরকার বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে, এখন সেনাবাহিনীকেও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এইভাবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, তাদের প্রতিপক্ষ করে সফল হওয়া যাবে না।'

শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতীকী অনশনে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনশনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, 'সরকার সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এই ক্ষমতা চিরস্থায়ী হতে পারে না। এই ক্ষমতা অবশ্যই শেষ হবে। যেহেতু সরকারের জবাবদিহিতা নাই, তাই তারা একে একে দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে, প্রশাসন, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এইভাবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, তাদের প্রতিপক্ষ করে, শুধুমাত্র রাষ্ট্রর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সফল হওয়া যাবে না।'

তিনি বলেন, 'বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন নয়, এই বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে আওয়ামী লীগের করায়ত্ত হয়ে গেছে। তা প্রমাণিত হয়ে গেছে পাবনায় ৯৪ সালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ৯ জনকে আদালত ফাঁসির রায় দিয়েছে, ২৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন, বাকিদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো ছিল। তার প্রমাণ, রিন্টু নামের একজন লেখক লিখে গেছেন যে, আওয়ামী লীগ নিজেরাই ওই ঘটনাটি ঘটিয়েছিল, শুধুমাত্র জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। বিচার ব্যবস্থাকে রাজনীতিকীকরণে সারা দেশের মানুষ অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করছে।'

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছেন দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'তিনি মুক্তি পেলে মনে করব গণতন্ত্র মুক্তি পাচ্ছে। সেই মুক্তির জন্য শুধু আইনি লড়াইয়ের ওপর নির্ভর করলে আমাদের চলবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছি। তাদের সাথে নিয়েই আমাদের আন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকারের পতন ঘটাব আমরা।'

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএসপিপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণী চৌধুরী, মহাসচিব শহিদুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. রুস্তম আলী মধুসহ সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর