বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'ডেঙ্গু প্রতিরোধে অকার্যকর ওষুধ আমদানি করা হচ্ছে। মশার মারার ওষুধ কার্যকর হচ্ছে না। হবে কোথা থেকে? যে দুর্নীতি তারা (সরকার) করে, তাতেতো কার্যকর হওয়ার কথা না। এখন নতুন ওষুধ আনবে, সেখানে আরও দুর্নীতি হবে। দুটি ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে থাইল্যান্ডে, সে দুটি ওষুধ নাকি আনা হচ্ছে। তারা আমদানি করছে কলকাতার ডেপুটি মেয়রকে তাদের কনসালটেন্সির জন্য। দেশের এখন এমন অবস্থা, হীরক রাজার দেশের চেয়েও অধম হয়ে গেছে।'
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপিপন্থী ডাক্তারদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন। সভার আয়োজন করে (ড্যাব)।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন মালয়েশিয়ায় গেলেন, পত্র-পত্রিকার দেখলাম, তিনি ব্যক্তিগত সফরে গেছেন। ফিরে আসার পর বলেছেন, তিনি জানেন না কতজন মানুষ মারা গেছেন। বলছেন, ১৬-১৭'শ আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গুতে কত জন মারা গেছেন, আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলতে পারেননি। এটা তার জানা নেই। ডেঙ্গু যখন চরম আকার ধারণ করেছে, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন, এডিস মশা রোহিঙ্গাদের মতো। কত বড় অমানবিক হলে, কত বড় অমানুষ হলে একজন মন্ত্রীর মুখে এ ধরনের কথা শুনতে পারি!'
আবার সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'সময় শেষ হওয়ার আগেই এই পার্লামেন্ট বাতিল করুন, নির্বাচন বাতিল করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় দেশের জনগণ জানে কীভাবে এ ধরনের সরকারকে পরাজিত করতে হয়। পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচারী সরকারই দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারেনি। আওয়ামী লীগও পারেনি। এবারও পারবে না। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। হতাশা কাটিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।'
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আজকে ভিন্ন আঙ্গিকে গণতন্ত্রের একটা লেবাস পরিয়ে আবার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যখন আমাদের সমস্ত অর্জন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা কী করতে পারি? আমরা যেটা করতে পারি, সেটা করতে চেষ্টা করছি। আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি।'
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ড্যাবের সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ জে ড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ড্যাবের বর্তমান মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আব্দুস সালাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।