জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, অনেক জেলায় ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, এতে পরিস্থিতি আরও অবনতি আশঙ্কা রয়েছে। সব জেলা শহরে ডেঙ্গু চিকিৎসার কিট সরবরাহ করতে হবে।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডেঙ্গু নির্মূলে গণসচেতনা সৃষ্টির লক্ষে জাতীয় পার্টি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জিএম কাদের বলেন, আমি বছর দশেক আগে রংপুরে অবস্থান কালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলাম। তখন আমাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো। ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মৃত্যূর সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানু্ষের মধ্যে যেভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার ছিলো সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। আমরা রাজনীতিবিদ আমরা ডাক্তার নই। আমরা সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করতে পারি।
তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে আলোচনা করে ফ্রি ডেঙ্গুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করুণ। এমন হতে পারে তারা ফ্রি চিকিৎসা দেবে খরচ বাবদ টাকা দেবে সরকার। শুধু সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই রোগে রক্তের প্রয়োজন পড়ে। আপনাদের যার যেখানে যেভাবে রক্ত দেওয়া প্রয়োজন। সেভাবে রক্তদিন। মানুষের পাশে দাড়ান, জনগণকে সচেতন করুন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, সংসদ অধিবেশন থাকলে সেখানে কথা বলতাম। কিন্তু অধিবেশন নেই জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি।
আপনারা জানেন ডেঙ্গু আজ ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। ডেঙ্গুর নামে ৫০ কোটি টাকার ওষুধ এনেছে এখন দেখা যাচ্ছে কেরোসিন তেল। সরকারকে বলবো এই দুই চোর মেয়রকে বরখাস্ত করুন। আপনারা ভোটে নির্বাচিত হলে এভাবে লুটপাট করতে পারতেন না। যন্ত্রের না অযন্ত্র আনা হয়। লুটপাট করা হচ্ছে।
রাঙ্গা বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে না থাকায় পরিস্থিতি হ য ব র ল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আজ অথবা কাল দেশে আসবেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো। ডেঙ্গু মশার মতো দুই মেয়রকে ঢাকা থেকে বিতাড়িত করুন। যারা মশা মারতে পারেন তাদের মেয়র থাকার কোনো অধিকার নেই।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, আলমগীর শিকদার লোটন, নাজমা আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল আলম রুবেল প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে প্রেস ক্লাব এলাকায় সচেতনতা লিফলেট বিতরণ করেন জিএম কাদেরসহ জাপার নেতাকর্মীরা।