স্বাধীনতার পর কোনো বাংলাদেশি ভারতে যায়নি: মির্জা ফখরুল

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-31 14:56:29

স্বাধীনতার পরে কোনো বাংলাদেশি কখনো ভারতে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, 'আসামের নাগরিকপুঞ্জি (এনআরসি) ইস্যুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশকে বিপদগ্রস্ত করার চক্রান্ত শুরু হচ্ছে'।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। কারণ, তাদের সেই বৈধতা নেই, সাহস নেই। আসাম (ভারতের আসাম) থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেখান থেকে নাকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করে আমাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, কোনো বাংলাদেশি স্বাধীনতার পরে
কখনো ভারতে যায় নাই।'

তিনি বলেন, 'দেশনেত্রী খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তার ডায়াবেটিস অত্যন্ত বেড়ে গেছে, গায়ের ব্যথা বেড়ে গেছে, তিনি কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে-চলতে পারেন না। হুইল চেয়ারে চলছেন। কিন্তু, এই সরকার, তার কর্মকর্তারা এবং ডাক্তাররা বলছেন, তিনি নাকি সুস্থ আছেন। অসুস্থ অবস্থায় তিনি দিন পার করছেন। আমরা তার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি দাবি করছি।'

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'এই সরকার ভোট ডাকাতি করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা অন্যায়ভাবে দেশনেত্রীকে আটকে রেখেছে। কারণ একটাই, তিনি বাইরে থাকলে এই এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করবেন। এই অবৈধ সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। ঐক্য সমুন্নত রাখতে হবে এবং সামনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে এই জালেম সরকারকে পরাজিত করতে হবে।'

নেতা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'নিজেদের অধিকার- ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাদেরকে সরিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর