ছাত্রদলের কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-09-01 18:46:33

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল আয়োজনে গত বৃহস্পতিবার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ ও কীভাবে কাউন্সিল সম্পন্ন করা যায় তা নির্ধারণে বৈঠকে বসে বিএনপি। কিন্তু দফায় দফায় নেতাদের বৈঠকের পরও সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি বিএনপি বা ছাত্রদল। এতে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটি, ছাত্রদলের নেতারা ও আইনজীবীরা জরুরি বৈঠকে বসেন। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন (লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত ছিলেন তারেক)।
 
পরে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিত হওয়ার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'এটা তারা (ছাত্রদল) আলোচনা করছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে। এটা তাদের ব্যাপার। আমরা বিএনপি, এর সাথে কোনোভাবেই জড়িত নই। এটা তাদের সিদ্ধান্ত। তারা আদালতে মুখোমুখি হবে। আমাদের (কাউন্সিল স্থগিতের মামলায়) পক্ষ করা হয়েছে, আমরা যথাসময়ে এর উত্তর দেবো। সে হিসেবে আমরা ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু ছাত্রদলের সিদ্ধান্ত এটা তারাই নেবেন।'
 
এদিকে, বিএনপির নেতারা ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও আইনজীবীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির নেতারা একে একে কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। কিন্তু কোনো নেতাই তাদের কোনো সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারা বের হয়ে গেলেও ছাত্রদলের এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্বে থাকা বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কয়েকজন সাংবাদিক কার্যালয়ের নিচে অবস্থান করলেও কাউন্সিল সম্পর্কে কোনো নেতাই কিছু জানায়নি বা অপারগতা প্রকাশ করেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. জয়নুল আবেদীন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে।'

এ বিষয়ে শামসুজ্জামান দুদুকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, নিতাই রায় চৌধুরী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, ওমর ফারুক ফারুকী।

সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসান ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর