আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চুক্তি না পড়ে, না বুঝেই যারা হতাশা প্রকাশ করেন সেটা তাদের পুরনো কু-অভ্যাস। সবকিছুতেই হতাশা ব্যক্ত করা, না পড়েই প্রতিক্রিয়া দেওয়া তাদের অভ্যাস, এমনকি নিজের ব্যাপারেও তারা আশাবাদী নন বলেই মনে হয়।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রচার উপ-কমিটির সভায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সম্পাদিত চুক্তির বিষয়ে সরকারবিরোধী দলগুলোর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা বোঝেননি যে, এলপিজি মানে প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, বরং ‘ক্রুড অয়েল’ বা অশোধিত পেট্রোলিয়াম পরিশোধন করার সময় প্রাপ্ত উপজাত, যা রপ্তানির সুযোগ দেশের জন্য অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভজনক।
ব্যাখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে আমরা যে ‘ক্রুড অয়েল’ আমদানি করি তা ‘রিফাইন’ বা পরিশোধন করার সময় তেলের পাশাপাশি প্রাপ্ত উপজাত হচ্ছে এলপিজি, যা রপ্তানির সুযোগ আমাদের অর্থনীতির জন্য সুসংবাদ।
ফেনী নদীর পানি ভারত প্রত্যাহার করে নেবে সে প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা থেকে আগত ফেনী নদীর পানি ভারত আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছিল, এবারের চুক্তিতে তাকে একটি কাঠামো-সীমার মধ্যে আনা হয়েছে আর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক হচ্ছে মাত্র ৫১ লিটার পানি।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ দাবি করে দলের প্রচার ও প্রকশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপরেটিং প্রসিডিউর-এসওপি’ বা কার্যপ্রণালী স্বাক্ষর একটি অসামান্য অগ্রগতি। ভারতের চট্টগ্রাম ও মোংলা, বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের ফলে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও বন্দর ব্যহারজনিত নানামুখী আয় বৃদ্ধি পাবে। ভারতের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্যই মূলত গড়ে তোলা চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতিতে আরো ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে।
ব্রিফিংকালে চলমান দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, দুর্নীতি বা দুর্বৃত্তায়নের হোতা যেই হোক, কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের প্রচার উপ-কমিটির সভাপতি এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আরিফা আক্তার রুমা প্রমুখ।