বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ মুজাহিদের অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকায় শাখা ছাত্রলীগের ১১ নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাত ১০টায় তাদের বহিষ্কারের তথ্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ছাত্রলীগ কতৃর্ক গঠিত তদন্ত কমিটির তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন, বুয়েট শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম, সদস্য মুজাহিদুর রহমান।
এর আগে, সোমবার (৭ অক্টোবর) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে থেকে লাশবাহী গাড়ি বুয়েট ক্যাম্পাসের সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে এসে দাঁড়ায়। ৯টা ৫৫ মিনিটে শুরু হয় জানাজা।
জানাজায় উপস্থিত আবরার ফাহাদের বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এছাড়া আবরারের পরিবাবারসহ তার সহপাঠী, দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ এবং শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টরা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। মসজিদের সামনের মূল রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
রাত ১০টা ১০ মিনিটে বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে গাড়ি ছেড়ে দেয় বাড়ির উদ্দেশে। ছেড়ে গেলেন প্রিয় ক্যাম্পাস, সহপাঠী ও শিক্ষক।
এ সময় সহপাঠীরা কান্না চোখে আবরারকে শেষ বিদায় জানান। লাশবাহী গাড়ি সঙ্গে রয়েছে দুটি মাইক্রো।
গত রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শের-ই–বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চারজন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা।