জনগণ এখন জাতীয় পার্টিকেই বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘অবক্ষয়ের রাজনীতি দেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখান থেকে এ যুবসমাজকে রক্ষার জন্য তাদের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, শান্তি ও আত্মত্যাগের রাজনীতির ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।’
‘জাতীয় পার্টি যুবকদের জন্য তেমন রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করে দেবে, যেখান থেকে যুবকরা ইতিবাচক রাজনৈতিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবে,’ যোগ করেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে এখন একটা শূন্যতা বিরাজ করছে। জাতীয় পার্টিকেই এ শূন্যতা দূর করতে হবে। কারণ, দেশের জনগণ এখন জাতীয় পার্টিকেই বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখতে চায়।’
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের তার বনানীর কার্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয় যুবসংহতি এবং জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কর্মীবান্ধব ও জনগণের দলে পরিণত হবে। জাতীয় পার্টির মালিকানা থাকবে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। জাতীয় পার্টি নেতা কেন্দ্রীক দলে পারিণত হবে না, দুই/চারজনের স্বার্থে ব্যবহৃত হবে না।’
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় যুবসংহতি ও স্বেচ্ছাসেবক পার্টিসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হবে। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে সবার জন্য জাতীয় পার্টিতে পদ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আগামী দিনের নেতৃত্ব সৃষ্টিতে এখন থেকেই যুবসংহতি ও স্বেচ্ছাসেবক পার্টিসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনে দায়িত্বশীল হতে হবে। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় যুব সংহতি ও স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জাতীয় কাউন্সিল করতে হবে। প্রতিটি কাউন্সিলে গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। কাউন্সিলের নামে লোক ভাড়া করে মহাসমাবেশ করলে চলবে না। প্রতিটি কাউন্সিলে প্রকৃত কাউন্সিলরদেরই উপস্থিত থাকতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায়, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবসংহতির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. বেলাল হোসেন ও সদস্য সুমন আশরা।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব, সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান, জাতীয় যুবসংহতির নেতা এটিইউ আহাদ চৌধুরী, দ্বীন ইসলাম শেখ, মঞ্জুরুল হক, সারোয়ার, জিয়াউর রহমান বিপুল, সোলায়মান সামী এবং জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতা গোলাম মোস্তফা, হুমায়ুন খান, নাসির হাওলাদার, শাহজাহান মিয়া, মো. হাবিবুর রহমান, ইকবাল হোসেন, ইদি আমিন এ্যাপোল কনক আহমেদ, গরিবুল্লাহ, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, আব্দুস সালাম লিটন, সালাউদ্দিন প্রমুখ।
উপজেলা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ের মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেবেন জিএম কাদের। পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালীর স্বাক্ষর করা এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।