‘আদালত না থাকায় উপজেলার প্রকৃত সুফল থেকে বঞ্চিত জনগণ’

জাতীয় পার্টি, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-31 02:17:33

উপজেলার কার্যকরী প্রাণশক্তি ছিলো উপজেলা আদালত, যার মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যেত। এখন উপজেলা আছে কিন্তু সেখানে আদালত নেই। ফলে গ্রামীণ জনগণ প্রকৃত উপজেলার সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাপার বনানী কার্যালয়ে উপজেলা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিএম কাদের বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে দিয়েছিলেন, সেই উপজেলা ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের আর কোনো বিকল্প নাই। গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা উপজেলা পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, বিচার প্রার্থীদের দূর-দূরান্ত থেকে আসতে হয় জেলা শহরে। উপজেলায় আদালত থাকলে উপজেলা সদর আবার প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠবে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

উপজেলা প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, এরশাদ একটি কল্যাণমুখী, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক গ্রামমুখী জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন। যা একটি মডেল হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। এই উপজেলা প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের হৃদয়ে লেখা হয়ে গেছে তাঁর নাম। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন উপজেলা থাকবে। আর যতদিন এই উপজেলা থাকবে ততদিন ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন এরশাদ। এই উপজেলা জাতীয় পার্টির গর্ব। উপজেলাকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাবো- আগামী দিনের সমৃদ্ধির পথে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অনন্য সৃষ্টির মধ্যে উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন অন্যতম। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জনগণের কাতারে ছিলেন, আমরাও সারাজীবন সাধারণ মানুষের কাতারে থেকে রাজনীতি করবো। ৯ বছরের শাসনামলে এরশাদ উন্নয়নের যে কীর্তি গড়েছেন, তা এখনো পর্যন্ত কোন সরকার করতে পারেনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মাজার, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, তিন নেতার মাজার সহ অসংখ্য রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল কাঠামোই তৈরি করেছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ছাত্রসমাজের সদস্য সচিব ফয়সল দিদার দিপু, শ্রমিক পার্টির সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ শান্ত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ সভাপতি এস.এম. সোবহান প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর