‘সরকারের নির্যাতন ৭১’র পাকিস্তানি নির্যাতনকেও ছাড়িয়ে গেছে’

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 15:54:17

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সমগ্র দেশে যে নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু হয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি নির্যাতনকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২৬ লাখ মানুষকে সরকার আসামি করেছে ,পাঁচশ’র অধিক মানুষ গুম করেছে। হাজারের অধিক মানুষকে তারা পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশে এখন একটি অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে।’

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদের আয়োজিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আর এর জন্য বর্তমান সরকার দায়ী। তারা গণতন্ত্র ও বিরোধী রাজনীতিকে ধ্বংস করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। শুধু তাই নয় রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। এ সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। ’

তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের নেতৃবর্গের কথা নয় প্রখ্যাত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলেছে, যে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে এটা সঠিক নয়। তারা বলছে দেশের অর্থনীতির প্রতিটি স্তম্ভ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট সেই সঙ্গে সবকিছু লুট হয়ে যাচ্ছে। ১ লাখ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হয়েছে। যা দিয়ে পাঁচটা পদ্মাসেতু নির্মাণ করা যেত।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একদিকে প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। অন্যদিকে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষের সমস্ত অধিকারকে হরণ করা হচ্ছে। আর এসবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছিলেন বলেই বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তাই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচন মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।’

তরিকুল ইসলামের স্মরণে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির নেতৃবৃন্দ যারা আমাদের মধ্য থেকে চলে যাচ্ছেন, এই চলে যাওয়াটা যদি সুস্থ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হতো আমাদের কিছু বলার ছিল না। কিন্তু তরিকুল ইসলাম তার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের বেশিরভাগ সময় নির্যাতিত হয়েছেন সরকারের হাতে। প্রথমে পাকিস্তান সরকারের হাতে এরপরে আওয়ামী সরকারের হাতে, তারপরে হয়েছেন বাকশালী সরকারের হাতে ও স্বৈরাচারী এরশাদের হাতে। সব শেষে যখন তিনি ব্যাধিগ্রস্ত হয়েছেন সেই সময়ে তাকে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।’

স্মরণ সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু,সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর