সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের হওয়া চুক্তির বিষয়ে জানতে তথ্য অধিকার আইনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিবে বিএনপি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির নিয়মিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে জানতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। সাত দিনের বেশি সময় হয়ে গেলও সেই চিঠির কোন উত্তর আমরা পাইনি। এখন আমরা আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তথ্য অধিকার আইনে চুক্তির বিষয়ে জানতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেব। আগামী দু-একদিনের মধ্যে চিঠি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশচুম্বী। প্রত্যেকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দাম বেড়েছে। এই ব্যাপারে সরকারের যে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিলো তা নিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার কারণেই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকা উচিত না। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আগামী ৩ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে পুরো বিষয়টি জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।
আসমের নাগরিক পঞ্জিকার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যেভাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই একইভাবে যদি আসাম থেকে ভারতের নাগরিকদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তা কোনভাবেই বাংলাদেশ গ্রহণ করতে পারে না। এটা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। এই বিষয়ে বিস্তারিত আগামী ৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের করে জনগণের সামনে তুলে ধরবো।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিয়ম ভেঙে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সচিব এককভাবে লোক নিয়োগ দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন কাজ করছেন। যা সংবিধানের পরিপন্থী। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ অযোগ্য। নির্বাচন কমিশনেও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। নির্বাচন কমিশনে যা হচ্ছে তা দুর্নীতির কারণেই হচ্ছে ধারণা জনগণের। সেজন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিত নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতি খুঁজে বের করা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির নিয়মিত বৈঠকে লন্ডনে থাকা দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান প্রমুখ।