আগামী রোববার সারাদেশে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মিছিল করবে বিএনপি। পাশাপাশি একই দিনে বেলা ২টার পর থেকে মহানগরের প্রতিটি থানায় থানায় মিছিল করবে তারা।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ হলে এক জরুরী বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ জরুরী বৈঠক বসেন দলটির নেতারা।
ফখরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের রায়ের জাতি স্তম্ভিত হয়েছে। যে রায় হয়েছে সেই রায়ে আমরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। জাতি পুরোপুরিভাবে শুধু স্তম্ভিতই নয়, ক্ষুব্ধ।
তিনি আরো বলেন, 'আমরা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রোববার দিন সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগরের প্রতি থানায় বেলা দুইটার পর থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই হচ্ছে আপাতত আগামী রোববারের জন্য কর্মসূচি। পরের কর্মসূচি এরপরে ঘোষণা করব।'
ফখরুল বলেন, 'আমরা মনে করি, যারা আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জনগণের সক্রিয় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদেরকে বাধ্য করব এই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার গঠনে।'
ভিডিও কনফারেন্সে লন্ডন প্রবাসী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যেন তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।