বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল উদ্বোধনের পর স্বাধীনতার পথ পরিক্রমায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। এছাড়াও ১৯ বারের হত্যা চেষ্টার পর শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় এসে যেভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নিয়ে গেলেন তা বর্ণনা করা হয়।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্ম নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। এক কোটি মানুষের পুনর্বাসন এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে বিভিন্ন অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ভারতীয় সৈন্যের বাংলাদেশ ত্যাগ ও জাতিসংঘে সদস্যপদ লাভ করা বাংলাদেশের অনন্য অর্জন।
এ সময় বঙ্গবন্ধু কর্তৃক সবুজ বিপ্লব ও বহু কলকারখানার স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনী গঠন, বিশ্বব্যাংকের সদস্যপদ লাভ এবং বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসন, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন, অস্ত্র উদ্ধার কর্মসূচি, রেল ও নৌপথ নির্মাণ, শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নবজাগরণসহ বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরা হয়।
৭৫ এ জাতির জনকের হত্যায় বাংলাদেশে যে কালো অধ্যায় রচিত হয় সে সম্পর্কেও তুলে ধরা হয়। এরপর দীর্ঘ সময় পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ক্ষমতায় আরোহণের পর বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরা হয়।
এর আগে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এদিকে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলে দলে নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়েছেন সকাল থেকেই। সম্মেলনকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।