নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ভোট: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 23:21:41

নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ভোট করব, সেভাবে প্রস্তুতি থাকবে। চাকচিক্যের চেয়ে আন্তরিকতা বেশি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, কাউন্সিল দুই বছরেরটা তিন বছর করার কথা বলা হয়েছে। অন্য দলগুলোর গঠনতন্ত্র বিশ্লেষণ করে এটা আমরা বিবেচনা করে দেখব। কারণ কাউন্সিল হলে অনেক সময় গোলমাল সৃষ্টি হয়।

আমাদের নেতা বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ব মোরা। এখন রাজনীতিটা বদলে গেছে। ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করবে, অন্যরা কর্মী নয়, যেন কর্মচারী। আমি টাকা দেব, আমি নেতা, অন্যরা আমার কর্মচারী। আমি এ ধারা থেকে বের করে আনতে চাই। দলের মালিকানা সবার। একেকজন একেক দায়িত্ব পালন করছি। আমি পয়সার রাজনীতি করতে চাই না, রাজনীতি করে পয়সা আয় করতে চাই না, যোগ করেন জিএম কাদের।

তিনি বলেন, কমিটিতে থাকার জন্য তদবির করেন, অনেক সময় মারামারি করতে পারেন। তাহলে পার্টির জন্য কেন ত্যাগ স্বীকার করতে পারবেন না? ত্যাগ স্বীকার যদি না করতে পারেন, তার নেতা হতে চাওয়াও উচিত না। টাকার জন্য রাজনীতি করলে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব না। আমি টাকা দিয়ে কাউন্সিলে লোক আনতে চাই না।

কাউন্সিলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি যদি পয়সা দিয়ে আপনাদের আনি, তাহলে আপনাদের ভয়েজ শোনার কোনো প্রয়োজন নেই। আর আপনি যদি পার্টি করেন, তাহলে নিজ গরজে আসবেন। পার্টির পদ পরিচয় দিয়ে কিছু না কিছু মর্যাদা পান। আপনাদের এ পদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে অনেকে শ্রম দিয়ে গেছেন। প্রয়াত এরশাদ অনেক কষ্ট করে গেছেন। দলের প্রোগ্রামে আসতে হবে। যেখানে যাবেন কেউ দলের বিপক্ষে কথা বললে, প্রতিবাদ করতে হবে। না হলে আমি কখন কোথায় নাম লিখিয়েছি তার কোনো মূল্য থাকে না।

এক চেয়ার পরে বসা সাদ এরশাদ প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, সাদ এরশাদ আজ প্রথম আমাদের সঙ্গে ফোরামের বৈঠকে বসেছে। দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে রাজনীতিতে অনেক অবদান রাখার সুযোগ দেন। আপনারাও ওর জন্য দোয়া করবেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, যারা এ মিটিংয়ে থাকবে না। আগামীতে কমিটিতে তাদের কোনো জায়গা হবে না। তিনি যতো বড় ক্ষমতাধর হোক। পার্টির নেতাকর্মীদের সন্তানদের আমাদের দল করতে হবে।

মহাসচিব আরো বলেন, যিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন, তার কাছে অনুরোধ থাকবে, যেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা কমিটিতে স্থান পান। যারা পার্টির জন্য বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন পদে বসাতে হবে। সবচেয়ে বড় এবং ভালো কাউন্সিল করতে চাই। এটা আমাদের কাউন্সিল নয়, উৎসব মনে করতে হবে। জমায়েত বড় হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যখন দুই লাখ লোকের জমায়েত প্রয়োজন হবে, তখন করা হবে। আমাদের আট হাজার কাউন্সিলর আর ডেলিগেট এলেই কাউন্সিল সফল হবে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের কারণে পোস্টার লাগানো হয়নি।

শনিবার আওয়ামী লীগের কাউন্সিল শেষ হলে পোস্টার লাগানো শুরু হবে বলেও জানান জাপা মহাসচিব।

সভায় অনেকেই অংশ নিলেও সিনিয়র নেতা রওশন এরশাদ ও তার অনুসারি প্রেসিডিয়াম সদস্যদের অনেককে দেখা যায় নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর