গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ২০২০ সালের মধ্যে সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে গঠতন্ত্র সংশোধন করে সময় বাড়িয়ে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের মধ্যে আওয়ামী লীগের সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের প্রস্তাব করেন। এ সময় প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, নির্বাচন কমিশনের বেধে দেয়া সময়সীমা অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে নির্বাহী কমিটিসহ সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ পদ নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এতে কি সবার সমর্থন আছে?
জবাবে সবাই উচ্ছ্বসিতভাবে এ প্রস্তাবে সমর্থন দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী হাস্যরস করে বলেন, সব নারী হাত দেখাচ্ছেন কেন, ছেলারা কোথায়? এ সময় সম্মেলনস্থলে হাসির রোল পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ছেলেরা যদি ভোট না দেন, বাড়িতে ভাত পাবেন না।
তিনি আরো বলেন, নারী নেতৃত্বের বিষয়টি আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। আমরা শুধু এটা বাড়ালাম। এটা আমরা সমর্থন করলাম।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মধ্যে দলের এক-তৃতীয়াংশ পদে নারী নেতৃত্বের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আর নির্বাচন কমিশনে এ প্রস্তাবটিও দিয়েছিল আওয়ামী লীগই। সেই ধারাবাহিকতায় এটি বাস্তবায়নে আনুষ্ঠানিকভাবে সময়সীমা বেধে দিল দলটি।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সব পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে আগামী বছর এ সময়সীমা শেষ হবে। তবে কোনো রাজনৈতিক দল এখনো এ কোটা পূরণ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের আগামী ২১তম জাতীয় সম্মেলনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও) শর্তানুযায়ী ৩৩ শতাংশ নারীকে দলের বিভিন্ন পদে রাখতে উদ্যোগ নিল দলটি।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠিত ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী ছিলেন মাত্র ১৫ জন।