জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ দেশের নব্বই ভাগ মানুষের মনের আশা পূরণ করেছেন। এর মাধ্যমে দেশের সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছেন তিনি।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) গুলশান ইমানুয়েলস্ মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা পার্টির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, সংবিধানে যেভাবে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়েছে, তা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। মসজিদের উন্নয়নে যেমন বরাদ্দ দিয়েছেন এরশাদ, তেমনিভাবে মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাতেও বরাদ্দ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, নবম সংসদে সংবিধানের অনেক সংশোধন হয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্রধর্মের বিষয়ে কোনো সংশোধনী বা পরিবর্তন আনতে হয়নি। জাতীয় পার্টি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্ন পূরণ করবে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ইসলাম ছাড়া হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের ইসলামী মূল্যবোধের সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতীয় পার্টি কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষগুলো এক হলে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করতে সমর্থ হবে। সব মতভেদ ভুলে ইসলামপন্থি আলেম ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জাতীয় ওলামা পার্টির আহ্বায়ক কারি হাবিবুল্লাহ বেলালীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, ওলামা পার্টির নেতা মাওলানা সাইখুল হাদিস, ড. আবুল কাইয়ুম আজাহারী, মাওলানা মোহাম্মদ এবিএম মোস্তফা কামাল চৌধুরী, মাওলানা মোহাম্মদ মুফতি মাহমুদি, মাওলানা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জিহাদী, মাওলানা কারী মোহাম্মদ আজিজুল হক সরকার ও মাওলানা মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন ওলামা পার্টির সদস্য সচিব মাওলানা মোহাম্মদ খলিলুর রহমান সিদ্দিকী।
সিনিয়র নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নোমান, অ্যাডভোকেট নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সুলতান আহমেদ সেলিম প্রমুখ।