আমার যতো দামি ঘড়ি-পোশাক এগুলো কেনা না। আমি এগুলো উপহার পাই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, হয়তো আমাকে অনেকে ভালোবাসে, আমার অনেক কর্মী আছে যারা বিদেশে আছে। তারা দেশে আসার সময় একটা স্যুট নিয়ে আসে। এইতো গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে আমার জন্য তিনটা কটি বানিয়ে নিয়ে আসছে। এখন আপনি যদি নিয়ে এসে আমাকে গিফট করেন তাহলে আমি কি করবো।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সুইডেন ভিত্তিক অনলাইন নেটত্রা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলেছিল আপনি নির্বাচনী হলফনামায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি সাতটি ঘড়ি ব্যবহার করেন তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আল–জাজিরায় গত ২ জানুয়ারি প্রতিবেদনে বলেছে বাংলাদেশে নেটত্রাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বিষয়টি আজ প্রথম শুনলাম। কিন্তু আমার যতো ঘড়ি আছে একটাও আমার নিজের পয়সা দিয়ে কেনা না। আপনি যদি আমাকে উপহার দেন তাহলে আমি কি করবো। আপনি বিদেশে গেলেন ভালোবেসে আমাকে একটি ঘড়ি দিলেন এটা আমি নিলাম।
কাদের বলেন, উপহারের সঙ্গে সড়কের কোন সম্পর্ক নেই। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো আমি কোনো কন্ডাক্টরকে এখানে বসতেও দেই না। আমার সঙ্গে কোনো কন্ডাক্টরের বৈঠকও হয় না। যেটা হতো অতীতে, এখন হয় না।
তিনি বলেন, আমার এখানে কোনো প্রমোশনের জন্য তদবির হয় না। পরবর্তী চিফ ইঞ্জিনিয়ার যে হবেন তার মাত্র ১০ দিন সময় আছে অবসরে যাওয়ার তাকেও চিফ ইঞ্জিনিয়ার করেছি কয়েক দিন আগে। সেখানে ১০ দিন পর নতুন লোক আসবে। আগে তো চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদে যাওয়া মানে বিশাল ব্যাপার। এসব তো আপনারা শুনতেন এগুলো অজানা থাকতো না। আর কন্ডাক্টররা নির্বাচনের সময় একটা অ্যামাউন্ট দিতে চেয়েছিল। আমি সরাসরি না করে দিয়েছি। আমাকে নির্বাচনের জন্য টাকা প্রধানমন্ত্রী নিজে দিয়েছেন। আমার কারো থেকে টাকা নিতে হয়নি বলে জানান তিনি।