ইভিএম ও কমিশনের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে: জাপা

জাতীয় পার্টি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 11:45:19

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাপার একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। দুপুর তিনটায় শুরু হয়ে বৈঠকটি চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন ভবনে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে জাপার প্রতিনিধি দল

তিনি বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অঙ্গন এবং বিশেষ করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি এবং কি কি সমস্যা নির্বাচনে হতে পারে সে দিকগুলো তুলে ধরেছি। বিশেষ করে ইভিএম নিয়ে আমরা বললাম এটা একটা নতুন ব্যবস্থাপনা। এটা বুঝতে সময় প্রয়োজন, ব্যবহারের জন্য জাতির জীবনে কিছু চর্চার প্রয়োজন আছে। সেই সময়টা পেলে হয়তো পরিপূর্ণ ব্যবহার আমরা অর্জন করতে পারব। যাতে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে কোন প্রশ্ন না আসে।

এটা যাতে মিস ইউজড না হয় এবং সঠিক ভোটাধিকার প্রয়োগ হচ্ছে কিনা সেটির ব্যাপারে আরও ব্যাপকভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, বলেছেন আপনারাও (জাপা) আপনাদের ভোটারদের নিয়ে আসবেন এবং সময় নিয়ে ভোট প্রয়োগ হলে ইভিএমে ভুল হবে না।

তিনি বলেন, আগেও কিছু নির্বাচন হয়েছে ফলে ইভিএম সম্পর্কে আমরা কিছুটা অবগত হয়েছি। আমরা বলছি প্রশাসন যাতে নিরপেক্ষ থাকে। আমাদের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা, এখানে যা কিছু করবে সারা বিশ্বের মানুষ দেখবে। সে জন্য রাষ্ট্র, সরকার ও দেশের জনগণের সম্মান এই নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত। আমরা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করি, তারা সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

কি ধরনের সমস্যা তুলে ধরেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতীতে নির্বাচনগুলোতে কিছু ঘটনা ঘটেছে। সামনের নির্বাচনে সে ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার আগাম সর্তকতার জন্য আমরা এখানে এসেছি। আমি মনে করি ঘটনা ঘটার আগে ব্যবস্থা নিলে ঘটনা ঘটে না। আমাদের নির্বাচন কমিশনের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা আছে, আমরা এ বিষয়ে মতামত দিয়েছি। আমরা আশা রাখি ইভিএম প্রয়োগের মাধ্যমে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।

ভোট কেন্দ্র এক প্রার্থীর সমর্থক আরেক প্রার্থীকে আক্রমণ করা। এসব ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সরকারকে অনুরোধ করছি যে ‘আর নহে গো ভালোবাসো মোর গায়’। আমাদের সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা তিনি জানেন মুক্তিযুদ্ধে আমরা কত রক্ত দিয়েছি, আর যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। আমরা ভোটে অংশগ্রহণ করেছি। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতে আমরা নির্বাচন কমিশন এসেছি।

রুহুল আমিন বলেন, দক্ষিণে আমাদের চূড়ান্ত বিবেচনায় এইমাত্র খবর পেলাম আমাদের প্রার্থী নির্বাচনে থাকবেন এবং আমরা চেষ্টা করে যাবো শান্তিপূর্ণ সহবস্থানে থেকে নির্বাচন কিভাবে সমাপ্ত করা যায়।

এরশাদ জীবিত থাকাকালীন নির্বাচনে থাকা না থাকা নিয়ে নাটকীয়তা ছিল, তার মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্ট কে হবে সেটা নিয়ে নাটকীয়তা, এখন ভোটে কে থাকবে তা নিয়ে নাটকীয়তা। জাতীয় পার্টি মানেই কি নাটকীয়তা? এ বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু কথা তো আপনাদেরকে বলতে হবে, না হলে কিভাবে কাগজের পাতায় লিখবেন। আমরা আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্ব বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর