সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাগত জানাবে। কারণ ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মিত্র। বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ।
শনিবার (৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা এ কথা বলেন।
রওশন এরশাদ বলেন, নরেন্দ্র মোদি আমাদের সম্মানিত রাষ্ট্রীয় অতিথি, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে যোগ দিচ্ছেন। তার এই সফর আন্তরিকতাপূর্ণ হবে এবং বাংলাদেশের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বন্ধনকে ভালোভাবে নেবে।
দিল্লির সাম্প্রতিক ঘটনাকে দুঃখজনক হিসেবে উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, কোনো একটি দিক বিবেচনায় নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নির্ধারিত হয় না। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সার্বিক পরিবেশ ও ভূ-রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
তিনি বলেন, দিল্লির ঘটনায় ভারতের বিবেকবান মানুষ দল-মত, ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে সহিংসতাকে নিন্দা জানিয়েছে এবং মুসলমানদের সুরক্ষায় এগিয়ে এসেছে - বিষয়টি আমাদের মনে রাখতে হবে। নরেন্দ্র মোদি কোনো দলীয় প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন না বরং তিনি বন্ধুপ্রতিম ভারত রাষ্ট্রের সরকার প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন। ভারতের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের হাজার বছরের মেলবন্ধন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে দিল্লির ঘটনায় বাংলাদেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এ কথা সত্য। কিন্তু বিশ্ব-মানবতার প্রতি বরাবরের মতো আস্থা রেখে আমাদের ধৈর্য্য ধারণ করা উচিত। নরেন্দ্র মোদির সফরকে ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে মিলিয়ে প্রতিবাদ - প্রতিরোধের ডাক না দিয়ে আমাদের উচিত হবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে পরীক্ষিত বন্ধু ভারতের সরকার প্রধানকে স্বাগত জানানো। অতিথিপরায়ণতার সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে মানবতার পরিচয় তুলে ধরতে বিরোধীদলীয় নেতা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।