জাতির এই মহাক্রান্তিকালে প্রতিহিংসাপরায়ণতা ভুলে এই মুহূর্তে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। তার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করুন। জনগণের নেত্রীকে জনগণের মাঝে ফিরিয়ে দিন বলে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান করেন।
তিনি বলেন, এই মহাবিপদের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন খালেদা জিয়ার জীবন ও স্বাস্থ্য নিয়ে। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে জাতীয় দুর্যোগে সবাই এক হয়ে কাজ করা জরুরি।
রিজভী বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলো থেকে গত এক সপ্তাহেই প্রায় এক লাখ মানুষ দেশে এসেছেন ও এর সঙ্গে তুলনা করলেও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা নগণ্য। ১৭ কোটি মানুষের দেশে যেখানে কয়েক লাখ ‘পিপিই’ দরকার, বেড দরকার কয়েক হাজার, আইসিইউ দরকার, অক্সিজেন দরকার-সেখানে করোনা ধেয়ে আসছে জেনেও গত আড়াই মাসে তা প্রতিরোধে কিছুই করেনি সরকার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকারের ক্ষমাহীন উদাসীনতা ও প্রাক-প্রস্তুতিহীনতার কারণে একটা বড় ধরনের বিপদ আমাদের সামনে ধেয়ে আসছে। ভাইরাসে সংক্রামকদের চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্ধারণ, সংক্রামক শনাক্তকরণসহ চিকিৎসক-নার্সদের প্রয়োজনীয় পোশাক (পিপিই) ও যন্ত্রপাতি কোন কিছুই সরকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। ঢাকার বাইরে কোনো হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত বা আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের থাকা-খাওয়া এবং আসবাবপত্র নেই। নেই চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় পোশাক ও ওষুধ। সেন্টারে নেই খাট, বেডসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বড়লোকের ঋণ কিস্তি স্থগিত করেছে কিন্তু গরীবের ঋণ কিস্তি স্থগিত করেনি। অবিলম্বে গরীবের সকল ঋণ কিস্তি স্থগিতের দাবি জানাচ্ছি। নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপদ পোশাক সরবরাহ করে সকল হাসপাতালে চিকিৎসা চলমান রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। ভাইরাসে সংক্রামকদের চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্ধারণ, সংক্রামক শনাক্তকরণসহ চিকিৎসক-নার্সদের প্রয়োজনীয় পোশাক (পিপিই) ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে করোনা আক্রান্তদের বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসা দেয়ার জোর দাবি করছি।