করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় ঝুঁকি বাড়ছে: রিজভী

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 12:48:14

করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার কল পাচ্ছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর)। যার প্রত্যেকটি কলই করোনা সক্রান্ত বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক। এদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। আইইডিসিআর করোনা পরীক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্বই দিচ্ছে না। পর্যাপ্ত পরীক্ষা করার সুযোগ না থাকায় ঝুঁকি বাড়ছে।

সোমবার (৩০ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যম সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, মহাবিপদ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেই, সমন্বয় নেই, আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণের পর্যাপ্ত উপকরণ ও ব্যবস্থাপনা দেশে নেই, নেই চিকিৎসকদের রক্ষার ব্যবস্থা, নেই যথেষ্ট মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ভেন্টিলেটর। পরীক্ষার ব্যবস্থা ছাড়া সরকার আক্রান্ত সংখ্যার যে তথ্য দিচ্ছে, তা বিশ্বাসযোগ্যতা পাচ্ছে না। অবস্থা দৃষ্টে বর্তমান সরকারের পলিসি জনগণের কাছে একদম পরিষ্কার। নো কিট, নো করোনা। নো টেস্ট, নো করোনা। নো পেসেন্ট, নো করোনা। যে পলিসি করে ইরান ও ইতালি সরকার তাদের দেশের সর্বনাশ করেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে গোটা বিশ্ব থেকে। অথচ আমরাও সেই লুকানোর পলিসি দিয়েই সব কিছু ম্যানেজ করতে চলেছি! প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সরকারের এ লুকানো পলিসি যাতে কেউ প্রকাশ না করতে পারে, তার জন্য নানা রকমের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ লুকানোর পলিসির নাম দিয়েছে গুজব।

জাতির মহাবিপদের মুহূর্তে দুর্যোগ মোকাবিলার কোনো সমন্বিত উদ্যোগ না নিয়ে, বাস্তবতা অস্বীকার করে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে সরকারের মিথ্যা সাফল্যের বন্দনায় মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য জনগণকে গভীরভাবে চিন্তিত, ক্ষুব্ধ ও হতাশ করেছে। দীর্ঘদিন সময় পেয়েও জেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সরঞ্জাম সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল সরকারের। সে দায়িত্ব পালনে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লে মহাবিপর্যয় নেমে আসবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আক্রান্ত রোগী, সম্ভাব্য আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা এবং ভাইরাসের প্রকোপ যাতে না বাড়ে তার জন্য সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক যাবতীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি, যোগ করেন তিনি।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, করোনা পরিস্থিতির চরম অবনতি হতে পারে সহসা-এ কথা বিবেচনায় রেখে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ‘দিন আনি দিন খাই’ পরিবারগুলোর খাদ্য সংকট আগামীতে আরো বাড়বে। সেই সংকট যেন বড় বিপদ না হয়ে ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে খেটে খাওয়া মানুষকে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রণোদনা বাড়াতে হবে।

দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষের অবস্থান অতি দারিদ্র্যসীমার নিচে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের কাছে খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন দেশের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে, এ সরকার দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য কিছুই করছে না। আওয়ামী লীগের নেতা, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ধনিক শ্রেণীর জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার কথা বলছে সরকার। তাতে সাধারণ নাগরিকদের দুর্দশা লাঘব করবে কে?

এ সম্পর্কিত আরও খবর