করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইনে গুরুত্ব দেয়ার দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বুধবার (১ এপ্রিল) পর্যন্ত সারাদেশে ১৭৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৪ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সরকার বলছে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়া বলছে, আগামী দুই সপ্তাহ বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। করোনা যদি এখনই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে তা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।
রিজভী বলেন, আমরা মনে করি সরকারের নীতির কারণেই দেশের করোনা পরিস্থিতির আসল চিত্র ফুটে উঠছে না। ভেতরে ভেতরে সংক্রমণ হতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। আজকের পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, গতকাল ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। আর সরকারি হিসাবে মারা গেছে একজন। এক্ষেত্রে পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইনকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা হঠাৎ করেই বাড়তে পারে ভয়াবহতা। সেক্ষেত্রে লকডাউন চালিয়ে যাওয়াসহ বেশি বেশি টেস্ট করে পজেটিভ রোগী খুঁজে আইসোলেশনে নিয়ে আসা কাজে আসতে পারে। তথ্য গোপন করে এই মহামারী এড়ানো যাবে না। তাই সঠিক তথ্য দিয়ে এই রোগের ভয়াবহতা বুঝিয়েই জনগণকে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করতে হবে।
রিজভী আরো বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ, সুরক্ষা ও প্রতিকারে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য দিয়ে মানুষের আস্থা তৈরি করা উচিত। সরকারের তথ্য গোপন পলিসির সমালোচনা করার কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত কয়েকদিনে বিএনপির ১২ নেতাকর্মী ও চিকিৎসকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে এসব নেতাকর্মী ও চিকিৎসকদের মুক্তির দাবিও করেন তিনি।