করোনা পরিস্থিতিতে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মালিকরা শ্রমিকদের দিয়ে গাড়ি পাহারা দিচ্ছে। গাড়ি পাহারায় থাকা এসব শ্রমিক তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে জানিয়ে তাদের তিন বেলা খাবার সরবরাহের দাবি করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি করেন।
দেশের পরিবহন শ্রমিকদের দুর্দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, গত ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশের সকল গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। কারোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন কার্যকর করার জন্য গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করলেও এ খাতের লাখো শ্রমিকের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
তারা বলেন, যাত্রীবাহী বাস এখন পুরোপুরিই বন্ধ, জরুরি মালামাল পরিবহনের জন্য ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান কিছুমাত্রায় চললেও বেশির ভাগই বন্ধ। এ অবস্থায় পরিবহন খাতের শ্রমিকদের কোন আয় নেই, তারা দিনচুক্তিতে কাজ করেন। ফলে তারা তীব্র মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এরমধ্যে পরিবহন মালিকরা তাদের গাড়ি পাহারা দেয়ার জন্য হেলপারদের নিযুক্ত করেছে। ফলে শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে গাড়িতেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দিন কাটাচ্ছেন। এতে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিরও আশঙ্কা বাড়ছে। খাবারের হোটেল বন্ধ থাকায় তারা খাদ্যের কষ্টে দিনাতিপাত করছেন, বলেন গণসংহতির নেতারা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, পরিবহন মালিকরা তাদের মুনাফার জন্য সবসময় টার্গেট দিয়ে ও বিভিন্নভাবে শ্রমিকদের অমানবিক মাত্রায় খাটিয়ে নেয়। আজ যখন সারাদেশে করোনার কারণে সংকট চলছে, তখনও আমরা দেঝতে পাচ্ছি- ওই শ্রমিকদের দিয়েই মালিকরা তাদের গাড়ি পাহারা দেয়ার কাজ করাচ্ছে।
গাড়ি পাহারায় থাকা শ্রমিকদের প্রতিদিন তিনবেলা খাবার সরবরাহের দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, সকল পরিবহন মালিকদের এ ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দিতে হবে।