নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে না রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পার্লামেন্টে তাদের কোন প্রতিনিধিত্ব নেই। যখন আসার সুযোগ ছিল তখন তারা আসে নি। তাদেরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত অফার করা হয়েছিল কিন্তু তারা আসেনি।
শুক্রবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালিতে ঈদযাত্রা পরিদর্শনে গিয়ে ‘নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপি থাকার কোন সুযোগ আছে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ ইঙ্গিত দেন কাদের।
‘সরকার যে পদ্ধতিতে নির্বাচনে যেতে চাচ্ছে সেই পদ্ধতি বহাল থাকলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না’- এক্ষেত্রে রাজনীতির ভবিষ্যত কি? জানতে চাইলে কাদের বলেন, পদ্ধতিটা আমাদের সংবিধানের। পদ্ধতিটা বাংলাদেশের সংবিধানই নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচনটা কিভাবে হবে। আর সংবিধানের এই দায়িত্বটা থাকবে নির্বাচন কমিশনের উপর। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তাদের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়ে গেছে। ইলেকশন শিডিউল ঘোষণার পর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কেমন হবে সেটাও নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে যাবে।
তিনি বলেন, ১/১১এর মত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টির চক্রান্ত বিএনপি করছে। এটা মিডিয়ার একটি অংশ তাদের সহযোগিতা করছে। ওই কুশীলবদের সঙ্গে মিডিয়ার যে অংশটি ছিল তাদের সহযোগি। এখনও একই ষড়যন্ত্র সেই বিএনপিই করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে মোটামুটি স্বস্তিদায়ক নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটা শান্তিময় পরিবেশ বিরাজ করছে, এই শান্তিময় পরিবেশটাকে ভয়ঙ্কর রুপ দেওয়ার জন্য বিএনপি এবং তাদের দোসররা উঠে পড়ে লেগেছে।
ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে বলে জানিয়ে কাদের বলেন, এবারের ঈদের, প্রধানমন্ত্রী ২৩টি সেতু উদ্বোধন করার পর, ঢাকা টাঙ্গাইল এলেঙ্গা এবার স্বস্তিদায়ক হবে, সহনীয় হবে ভোগান্তি। আর ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ফেনী রেল ওভারপাসের কারণে গত ঈদের কিছুটা সমস্যর কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল, এটাও এবার খুলে দেওয়া হয়েছে।ঢাকা টাঙ্গাইল পথে অন্যান্য সমস্যাও সমাধান করা হয়েছে। রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার বিশ্বাস এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। সব মিলিয়ে গত ঈদের চেয়ে এবারে ঈদ স্বস্তিদায়ক হবে।
এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় ওবায়দুল কাদের একজন মহিলা যাত্রীর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে স্টারলিংক নামে একটি পরিবহনের কাউন্টার বন্ধের নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমতির মহাসচিব ও ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহসহ পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতারা ছিলেন।