করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকারের দেওয়া তথ্যে জনগণের কোনো আস্থা নেই বলে জানিয়েছে গণফোরাম।
মঙ্গলবার (২ জুন) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, জনজীবনে করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারের অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতির আরো অবণতি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে মার্চের ১১ তারিখেই করোনা পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে, সেখানে সরকার অনেক বিলম্ব করে মার্চের শেষ সপ্তাহে এসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। অথচ জানুয়ারির ৩০ তারিখেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি অফ ইন্টারন্যাশল কনসার্ন (PHEIC) ঘোষণা করে। অর্থাৎ জাতীয় কৌশল নির্ধারণে আমরা যথেষ্ট সময় পেয়েও সেটিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি।
ড. কামাল হোসেন ও ড. রেজা কিবরিয়া বিবৃতিতে বলেন, এখন পর্যন্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে পরীক্ষার হার অত্যন্ত কম এবং সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকারের দেওয়া তথ্যে জনগণের কোনো আস্থা নেই। বিলম্বে ও শিথিলতার মধ্য দিয়ে যে “সাধারণ ছুটি” ঘোষণা করা হয়েছিলো তার প্রভাবে জনজীবনে সমূহ দুর্ভোগ নেমে এলেও তা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে এর ফলে লক্ষ-লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এছাড়া দুর্নীতি ও অদক্ষতার ফলে সরকারি সাহায্যের সামান্য অংশই গরিব ও ঝুঁকিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সংক্রমণের হার যখন দ্রুত বাড়ছে, এরকম একটি পরিস্থিতিতে “জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির” সুপারিশ উপেক্ষা করে সরকারি ছুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাব এবং স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাচ্ছে। যারা রাষ্ট্রের ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়েছেন তাদের ক্রমাগত ব্যর্থতার জন্য একদিন জবাব দিতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সরকারকে এখনই যথাসম্ভব পদক্ষেপ নিতে হবে।