সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে শারীরিক নানা জটিলতার কারণে এখনো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকেই বাজেট ও করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে উত্তরণে করণীয় নিয়ে লেখালেখি করছেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ জুন) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘রাত ৮টায় আমি তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি তার শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করেন। এ সময়ে তিনি লিখছিলেন- ‘করোনা বনাম বিশ্ব পুঁজিবাদ, ২০২০-২১ বাজেট’।’
মিন্টু আরও বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের সংক্রমণ গতকালের চাইতে আরও কমেছে। নিয়মিত এন্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। শারীরিক অবস্থা গতকালের চাইতে আরও বেশ উন্নতির দিকে। নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করছেন। অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না, গলার ব্যথার জন্য কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, তবে উন্নতির দিকে। একটু একটু কথা বলতে পারেন এবং ইশারায় আর লিখে তিনি কথার উত্তর দেন। চিকিৎসকরা তাকে জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কথা বলতে নিষেধ করেছেন। তার শরীরে করোনাভাইরাস ইনফেকশন নাই, তবে নতুন ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন অনেক কমেছে। তাকে আরও বেশ কিছুদিন দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মানসিকভাবে অনেক উজ্জীবিত। চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও গণস্বাস্থ্যের স্থাপিত হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খোঁজখবর নিচ্ছেন। করোনাভাইরাসের মহামারিতে অসহায় দেশবাসীর খোঁজ খবর নেন। সাম্প্রতিক বাজেট ও করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে উত্তরণে করণীয় নিয়ে লিখছেন। তিনি দেশবাসীর নিকট দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্যে দোয়া কামনা করেন।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে তার নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফি এবং অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।