ইতিহাস-ঋদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ

, রাজনীতি

ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 08:30:48

দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশে কিছু আইকনিক পলিটিকাল পার্টি আছে, যারা স্ব স্ব দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের শুধু অংশীদারই নয়, চালিকা শক্তিও বটে। ভারতে জাতীয় কংগ্রেস, পাকিস্তানে মুসলিম লীগ, নেপালে কংগ্রেস এবং বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ তেমনি ইতিহাস-ঋদ্ধ রাজনৈতিক দল।

১৮৮৫ সালে উপমহাদেশে প্রথম একটি আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক দল হিসেবে নিখিল ভারত জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার পর বহুবছর  অনুরূপ কোন সংগঠন গড়ে ওঠেনি। তখন মুসলিম সমিতি ভিত্তিক রাজনীতির ধারা চালু ছিল নওয়াব আব্দুল লতিফের মোহামেডান লিটারেরী সোসাইটি এবং সৈয়দ আমীর আলীর সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন-এর মাধ্যমে। বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫) পরবর্তী রাজনীতির পালাবদলের আলোকে ১৯০৬ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ঢাকার শাহবাগে নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে গঠিত হয়।

জাতীয় কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ ছাড়াও কিছু কিছু বিপ্লবী গোষ্ঠী বিশ শতকের গোড়ার দিক থেকে তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করে। এদের মধ্যে প্রধান দুটি সংগঠন ছিল অনুশীলন সমিতি এবং যুগান্তর দল।

অনুশীলন সমিতির কেন্দ্রীয় সংগঠন ১৯০৬ সাল থেকে ঢাকায় তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করে। তাদের আরো তিনটি স্বতন্ত্র সমিতি বরিশাল, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে সদর দপ্তর স্থাপন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে। ১৯০৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অনুশীলন সমিতি একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে প্রকাশ্যেই তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকে। তবে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন স্থানে এদের গোপন শাখা সক্রিয় ছিল এবং এগুলোর সদস্য পদ হিন্দুদের জন্যই সংরক্ষিত ছিল।

যুগান্তর গ্রুপ ১৯০৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটিরও লক্ষ্য ছিল হিন্দু যুবসমাজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানো। বিশ শতকের বিশের দশক এবং ত্রিশের দশকের প্রথম দিকে বিপ্লবী রাজনৈতিক দলগুলোর অবক্ষয় শুরু হয় এবং এদের স্থলে নতুন সমাজতান্ত্রিক দল গড়ে উঠতে থাকে। এগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি।

ব্রিটিশ ভারতে ১৯২০ সালের পর নির্বাচনী রাজনীতি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান দলগুলোর পাশাপাশি কৃষক রাজনীতির সূচনা ঘটে। প্রতিটি প্রধান রাজনৈতিক দল কৃষক সংগঠন হিসেবে সহযোগী সংগঠন গড়ে তোলে। কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত কৃষক দল ছিল বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সভা এবং মুসলিম নেতৃবৃন্দ কর্তৃক গঠিত হয় নিখিল বঙ্গ প্রজা পার্টি। 

সেসময় কিছুসংখ্যক আইনজীবী এবং সাংবাদিকের সমর্থন নিয়ে একে ফজলুল হক  ক্যালকাটা এগ্রিকালচারাল অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন। পরে ১৯৩৫ সালে ফজলুল হক কৃষক প্রজা পার্টি গঠন করেন। তিনি অপরাপর কৃষক উপদলগুলোকে তার দলে নিয়ে এসে শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থান তৈরিতে  সক্ষম হন।

এছাড়া চিত্তরঞ্জন দাশ ১৯২২ সালে স্বরাজ্য পার্টি গঠন করেছিলেন কংগ্রেসের একটি শাখা সংগঠন হিসেবে। পরবর্তী দুই দশকে হিন্দু মহাসভা, আঞ্জুমান-ই-উলামা, ফরোয়ার্ডব্লক (১৯৩৯), রেভলুশন্যারী সোশালিস্ট পার্টি (১৯৪০), র‌্যাডিক্যাল ডেমোক্রাটিক পার্টি (১৯৪০), জামায়াত-ই-ইসলামী হিন্দ (১৯৪০)-এর মতো কয়েকটি সাম্প্রদায়িক ও বামপন্থী দল আত্মপ্রকাশ করে।

১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত বিভাগের পর নিখিল ভারত মুসলিম লীগের পরিবর্তিত নামকরণ হয় পাকিস্তান মুসলিম লীগ। ১৯৪৮ সাল থেকে জনবিরোধী নীতি ও অবস্থানের কারণে মুসলিম লীগের অবক্ষয় লক্ষণীয়। মুসলিম লীগের সাথে ভিন্নমত পোষণকারী ব্যক্তিবর্গ আওয়ামী মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম, খিলাফত-ই-রববানী পার্টি, কৃষক শ্রমিক পার্টি ইত্যাদির মতো সংগঠন গড়ে তোলেন। মূল দল মুসলিম লীগের ভাঙনের মধ্য দিয়েই এ সকল দল গড়ে ওঠে। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদ নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি হয় ও নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট একচেটিয়া বিজয় অর্জন করে।

এ সময় সামরিক শাসন কবলিত পাকিস্তানে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল আইয়ুব খান মুসলিম লীগে বিরাট এক ভাঙন সৃষ্টি করেন এবং এর এক অংশ নিয়ে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) নামে নিজস্ব একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে ১৯৬৩ সালে তিনি এই দলটির সভাপতি হন। কাউন্সিল মুসলিম লীগ নামে মুসলিম লীগের অপর অংশটিও তৎপর থাকে। তবে সামরিক শাসনের পক্ষে থেকে গণবিরোধী চরিত্র গ্রহণের জন্য দলটি ক্রমাগত ক্ষয়িষ্ণু হতে থাকে।

১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে অবিভক্ত বঙ্গ রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তান ন্যাশনাল লীগ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৯ সালের গোড়ার দিকে দলের ভেতরেই রক্ষণশীল এবং প্রগতিশীলদের মধ্যে বিরোধ চরম রূপ পরিগ্রহ করে। প্রগতিশীল অংশ ১৯৪৯ সালের জুন মাসের ২৩-২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (ইপিএএল) গঠন করেন। বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান এই দলের একজন সক্রিয় প্রতিষ্ঠাতা নেতা ছিলেন।

১৯৫০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (এপিএএল) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৫৫ সালের অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। শুরু থেকেই দলের ভেতর দুটি সুনির্দিষ্ট মতধারার অনুসারীদের উপদল ছিল; এর একটি ছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে মার্কিনপন্থী ধারা এবং অপরটি ছিল মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে গণমুখী বামপন্থী ধারা। এই মতপার্থক্যগত বিরোধ ১৯৫৭ সালের জুলাই মাসে দলটিকে আরও একটি ভাঙনের দিকে ঠেলে দেয়, যখন মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন।

১৯৬২ সালের ৪ অক্টোবর গঠিত ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (এন.ডি.এফ) একটি অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে থাকে। তবে ১৯৬৪ সালের ২৫-২৬ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগকে পূর্ব পাকিস্তানে একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। অবশ্য পশ্চিম পাকিস্তান আওয়ামী লীগের পুনরুজ্জীবন ঘটে এর কিছু দিন আগেই। একই বছর মার্চ মাসে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হলেও এটি একটি দলীয় ইশতেহার প্রণয়নে ব্যর্থ হয় এবং কার্যত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ একটি স্বাধীন সত্তা সম্পন্ন রাজনৈতিক দল হিসেবে এর কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে।

পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যকার বৈষম্যের বিষয়টি ইতিমধ্যেই বেশ কিছুসংখ্যক বুদ্ধিজীবী, বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা এবং মধ্যবিত্ত/ব্যবসায়ী/শিল্পপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পটভূমিতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ মতাদর্শিক ও রাজনৈতিক গতিধারা অনুধাবন করে ছয় দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলেন।

ছয় দফা কর্মসূচি ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করলে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয় এবং রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এই পর্যায়ে মূখ্যত ছাত্রদের নেতৃত্বে সংঘটিত একটি গণঅভ্যুত্থানের মুখে সরকার মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবুর রহমানসহ মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করে। কিন্তু গণরায়ের বিরুদ্ধে  পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশে সুপরিকল্পিতভাবে গণহত্যা শুরু করে। শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয় এবং বন্দি হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে সর্বাত্মক  মুক্তিযুদ্ধে শুরু করে আওয়ামী লীগ।

মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে ১৯৭১ সালের ৫-৬ জুলাই তারিখে দলের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাখা হয়। ইতিমধ্যেই ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের একটি অস্থায়ী সরকার গঠন  এবং মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর নতুন রাষ্ট্র পরিচালনার  দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ।

১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করে। ১৯৭৪ সালের অরাজকতা ও দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি এবং বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) নামের একটি দল গঠনের মাধ্যমে একদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত এক অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে সাথে আওয়ামী লীগের একটি অধ্যায়ের অবসান ঘটে।

১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগ কর্মকাণ্ড পুনরায় শুরু করে। কিন্তু বহু ব্যক্তি এবং অনেকগুলো উপদল আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে পৃথক পৃথক দল গঠন করে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে আতাউর রহমান খান কর্তৃক গঠিত জাতীয় লীগ (১৯৭০); জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ, ১৯৭২); জেনারেল এম.এ.জি ওসমানী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জাতীয় জনতা পার্টি (১৯৭৬); আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বাধীন গণ আজাদী লীগ (১৯৭৬) এবং খোন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বাধীন গঠিত বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক লীগ (১৯৭৬)। ড. কামাল হোসেন, আ. কাদের সিদ্দিকী, শাহ মোয়াজ্জেম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, কেএম ওবায়দুর রহমান, শেখ শহীদের মতো বহু নেতাও দল ছেড়ে চলে যান।   

ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। আওয়ামী লীগের অবশিষ্ট নেতৃবৃন্দ জিয়ার আমলে কোনক্রমে  কাজ করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে দলের হাল ধরলে আওয়ামী লীগের প্রকৃত পুনরুজ্জীবন হয়। পুনরায় দলকে শক্তিশালী করে তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দলটিকে চাঙ্গা করে তোলেন এবং দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দলকে ক্ষমতাসীন করেন।

বহু দল সময় ও পরিস্থিতির কারণে লুপ্ত, দুর্বল ও ক্ষীণ হয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ ব্যতিক্রম। ধ্বংসের প্রান্ত থেকে দলটি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে বার বার। এর পেছনে কাজ করেছে কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ। এর মধ্যে ১. বঙ্গবন্ধুর ইমেজ, ব্যক্তিত্ব ও ভাবাদর্শ,  ২. একাত্তরের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের সাহসিকতাকে ধারণ, ৩. শেখ হাসিনার সাংগঠনিক দূরদর্শিতা, ৪. সমাজে ও পরিবারে অসংখ্য আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতি, ৫. গণমুখী রাজনীতির অনুসরণ ইত্যাদি অন্যতম।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী শূন্য অবস্থান থেকে শেখ হাসিনা সমগ্র বাংলাদেশ চষে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের সংগঠিত ও ক্ষমতায়ন করেন। এইসব বিশ্বস্ত লোকজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগকে জীবন্ত রেখেছে এবং দলকে ক্ষমতাসীন করার পাশাপাশির সামাজিক ও পারিবারিক বলয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠিক ভিত্তি গড়েছে।  

নতুন প্রজন্ম, তথ্য প্রযুক্তি, বর্তমান  ও ভবিষ্যতের কৌশলপূর্ণ  রাজনৈতিক পন্থা আত্মস্থ করে আওয়ামী ৭২ বছরেও সজিব, শক্তিশালী ও গতিশীল। শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতেই নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশেই এমন নজির বিরল। ইতিহাস-ঋদ্ধ রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিজেকে প্রমাণিত করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং অতীত ঐতিহ্য ও বর্তমান কৃতিত্বকে ধারণ করে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দিকে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর