করোনাভাইরাস অনিশ্চিত করে দিয়েছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ভাগ্য। শেষ অব্দি মাঠে গড়াল লড়াই। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মাঠে নামলেন ফুটবলাররা। তার পথ ধরেই শেষ হলো নকআউট পর্বের প্রথম ধাপ। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে এলো আট ক্লাব।
করোনা মহামারীর সময়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ফরম্যাট পরিবর্তন করেছে উয়েফা। এবার বিশ্বকাপের আদলে হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল। সময় বাঁচাতে এছাড়া উপায়ও নেই।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা মাত্র ১২ দিনে শেষ করতে চায় মাঠের লড়াই। একই শহরে সবগুলো দল রেখে টুর্নামেন্টটি শেষ করার ছক কষেছেন আয়োজকরা। এ কারণে পর্তুগালের লিসবনকেই বেছে নিয়েছেন তারা। যেখানে করোনা সংক্রমণ ইউরোপের অন্য শহরের তুলনায় কিছুটা কম।
এ অবস্থায় চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালের ড্র ও সূচি তৈরি করে ফেলেছে উয়েফা।
বিশ্বকাপের মতো শেষ আট থেকে শুধু এক লেগের খেলা হবে। মানে নকআউট। ফিরতি লেগের ম্যাচ হচ্ছে না।
এরমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে শেষ আটের সূচি। লিওনেল মেসিদের ক্লাব বার্সেলোনা লড়বে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে। ১৪ আগস্ট লিসবনে লড়াই।
কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো শুরু ১২ আগস্ট থেকে। প্রথম দিন পিএসজি’র প্রতিপক্ষ আটালান্টা। ১৩ আগস্ট আরবি লেইপজিগের মুখোমুখি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ১৪ আগস্ট বার্সেলোনা-বায়ার্ন মিউনিখ দ্বৈরথ। শেষ আটের শেষ ম্যাচে ম্যানসিটি’র প্রতিপক্ষ ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিঁও।
সেমি-ফাইনালের দুটি ম্যাচ ১৮ ও ১৯ আগস্ট। ২৩ আগস্ট ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানজনক টুর্নামেন্টের ফাইনাল।
শেষ আটের সূচি
তারিখ | ক্লাব | ভেন্যু |
১২ আগস্ট | আটালান্টা-পিএসজি | এস্টাডিও ডা লুজ |
১৩ আগস্ট | লেইপজিগ-অ্যাটলেটিকো | এস্টাডিও হোসে আলভ্যালাদ |
১৪ আগস্ট | বার্সেলোনা-বায়ার্ন মিউনিখ | এস্টাডিও ডা লুজ |
১৫ আগস্ট | ম্যানচেস্টার সিটি-অলিম্পিক লিঁও | এস্টাডিও হোসে আলভ্যালাদ |