দুই ম্যাচে ১১৮ গোল! ভারতের ফুটবলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের লম্বা কেলেঙ্কারি

ফুটবল, খেলা

স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 19:27:12

অভিযোগটা নতুন নয়। এর আগেও অনেকবার ভারতের বিভিন্ন স্তরের ফুটবলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এনেছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। সর্বশেষ সেই অভিযোগের গর্তে পড়েছে এবার গোয়ার শীর্ষ স্থানীয় ফুটবল লিগ।

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) ইন্টিগ্রেটি অফিসার জাভেদ সিরাজের কাছে এএফসি এই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগের বিস্তারিত পেশ করেছে।

২০১৯-২০ মৌসুমের স্থগিত হয়ে পড়া গোয়া পেশাদারি ফুটবল লিগের ছয়টি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সন্দেহের তালিকায় পড়েছে। এএফসি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগে জানিয়েছে- এই ছয়টি ম্যাচের ফলাফল নির্ণয়ে আর্থিক লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই ছয়টি ম্যাচের ফল নির্নয়ে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের প্রভাবের বিষয়ে স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।’

এই ছয়টি সন্দেহজনক ম্যাচে জড়িত থাকা ক্লাবগুলো হলো কালানগুতে অ্যাসোসিয়েশন, পানজিম ফুটবলার্স, গার্ডিয়ান এঞ্জেল স্পোর্টস ক্লাব, এফসি গোয়া টু, ডেম্পো এসসি, সালগাঁওকার এফসি এবং স্পোর্টিং ক্লাবে ডি গোয়া। যদিও গোয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (জিএফএ) কোনো ধরনের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভারতের গোয়ার ফুটবলের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ইতিহাস অনেক পুরনো। ১৬ বছর আগে গোয়ার ফুটবলে বড় ধরনের জোচ্চুরি ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছিল। সেই সময় একদিনে চারটি ক্লাবের দুটি ম্যাচে ১১৮টি গোলের আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছিল! দ্বিতীয় বিভাগের আন্ত জোনাল প্লে-অফ ম্যাচে কোর্টেরিম জিমখানা ক্লাব ৬১-১ গোলে হারিয়েছিল সাংগোলদা লাইটিনিংকে। অন্য ম্যাচে উইলরেড লেইজার ক্লাব প্রতিপক্ষ ডোনা পাউলা ক্লাবের বিরুদ্ধে জিতেছিল ৫৫-১ গোলের ব্যবধানে!

গোল ব্যবধানই জানাচ্ছে এই দুই ম্যাচে বড় জোচ্চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেই সময় গোয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (জিএফএ) তদন্ত করে এই চারটি ক্লাবকে লিগ থেকে বহিষ্কার করে এবং প্রতিটি ক্লাবকে মাত্র ৫ হাজার রুপি জরিমানা করে দায় সেরেছিল।

শুধু গোয়া ফুটবল লিগে নয় কলকাতার ফুটবল লিগেও (সিএফএল) এমনতর অনেক ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছিল।

তারই কয়েকটির উদাহরণ এখানে-

১৯৮৩ সালে কলকাতা ফুটবল লিগের তৃতীয় বিভাগ ফুটবলের দুটি ম্যাচের গোল ব্যবধান ছিল ১১৪-০ এবং ৮০-০! এই দুটি ম্যাচে গোল কেলেঙ্কারির তদন্ত শেষে ভারতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএ) চারটি ক্লাবকে বহিষ্কার করেছিল।

২০১২ সালে আসামের মেঘালয়ের ফুটবল ক্লাব আর-হিমা (পরিবর্তিত নাম রাঙ্গাজিদ ইউনাইটেড) ভারতের ফুটবল সুপারস্টার বাইচুং ভুটিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ আনে। ক্লাবটি অভিযোগ করে, বাইচুং ভুটিয়া তার ইউনাইটেড সিকিমের ফুটবলারদের ইচ্ছে করে ম্যাচ হারার জন্য ঘুষ দিয়েছেন!

ভারতের সাবেক ফুটবল অধিনায়ক বাইচুং অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর