বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ক্রীড়াঙ্গনে নবদিগন্তের সূচনা: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

বিবিধ, খেলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 16:33:55

যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশে সবকিছুই ছিল এলোমেলো। নতুন করে শুরু করতে হয়েছে অনেক কিছুই। আর সেই কাজটি দক্ষতার সঙ্গে করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটাই বলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের শুভ সূচনা করেছিলেন। তিনি আজকের বিসিবি, বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠন করেছিলেন। তিনি ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টস যা আজকের বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তার গৃহীত এ সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারেণই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আজ সুদৃঢ় হয়েছে।'

সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'রক্তাক্ত যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জিত হলেও তার জন্য বাংলাদেশকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হয়। বলতে গেলে শূন্য হাতে শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলা। সেই অবস্থায় ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি নজর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া ছিল খুবই কঠিন। তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ক্রীড়াঙ্গনকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু। খেলাধুলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালেই যাত্রা শুরু করে জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।'

জাহিদ আহসান রাসেল জানান, 'দুই ধাপে গড়ে তোলা হয় ৩৪টি জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও সংস্থা। অনুমোদন দেওয়া হয় বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে। ফেডারেশনগুলোর সক্রিয়তায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পায় ক্রীড়াঙ্গন। বিদেশি ক্রীড়া দল খেলতে আসে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ দলও বিদেশে খেলতে যায়। ক্রীড়াবিদদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য ১৯৭৫ সালেই গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন।'

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্মময় জীবন নিয়ে সভাপতির বক্তব্যে প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আখতার হোসেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও এর আওতাধীন দপ্তরের প্রধানরা বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর