দিন শেষে স্কিলকেই গুরুত্বপূর্ণ মানছেন মাহমুদউল্লাহ

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-20 23:12:25

শ্রীলঙ্কা সফরের ২৭ সদস্যের প্রাথমিক দলে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে সফরের চূড়ান্ত দলে থাকবেন কিনা- তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। বাংলাদেশের হয়ে খেলা শেষ টেস্ট থেকে বাদ পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কারণ আর কিছু নয়, ব্যাটিংয়ে বাজে ফর্ম। টেস্ট দলে ফিরে আসার স্বপ্ন নিয়ে মাহমুদউল্লাহ রোববার, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে দলীয় অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। প্রথম দিনের দলীয় অনুশীলন শেষে মাহমুদউল্লাহ কোভিডকালে তার লকডাউনের অভিজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন।

মাহমুদউল্লাহ বলেন- ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেক দিন পর আমরা আজ মিরপুরে দলবদ্ধ অনুশীলন শুরু করলাম। ভালো লাগছে। লকডাউনের সময়টা খুবই কঠিন ছিল, কারণ দল থেকে দূরে, অনুশীলন থেকে দূরে। কিন্তু যতটুকু বাসায় করতে পেরেছি, রানিং বা জিমের কাজগুলো। কিন্তু স্কিলের কাজগুলো করতে পারছিলাম। এখন এই জিনিসগুলো শুরু করেছি অনেক দিন হলো। ব্যক্তিগত অনুশীলন হয়েছে। এখন আমরা দলবদ্ধ অনুশীলন শুরু করেছি। মাঠে সবাই ফিরে আসতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।’

লকডাউনের সময়টায় মাঠের ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত হলেও একেবারে আলসেমি করে সময়টা পার করেননি মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সেই প্রসঙ্গে বলছিলেন- ‘লকডাউনের সময়টাতে আমার একটা জিনিসই উপকার হয়েছে। আমার ফিটনেসটা চেষ্টা করেছি যেন আরও ভালো করা যায়। ট্রেডমিলে অনেক সময় ব্যয় করেছি। ফিজিও ও ট্রেনারের গাইডলাইন ছিল, সপ্তাহ বা ৩-৪ দিন পর পর কথা হতো কি কি কাজ করা যায়, জিমের প্রোগ্রামগুলো দেওয়া হয়েছে। ওই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করেছি, ব্যায়ামের কাজগুলো করা হয়েছে। ওগুলো করে বেশ ভালো ফল পেয়েছি। এখন শুধু স্কিলের কাজগুলো করছি। কারণ দিন শেষে স্কিলটাই গুরুত্বপূর্ণ। ফিটনেস ও স্কিল দুটো মিলিয়েই ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে।’

মাঠের ক্রিকেটে স্কিলের ঘাটতির জন্যই টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দলে নিজের জায়গটা উদ্ধারের জন্য সেই স্কিলেই পাসমার্কটা পাওয়ার জন্য এখন জোরদার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।

ব্যক্তিগত অনুশীলনের সেশন শেষে এখন দলীয় অনুশীলনে ফিরে আসায় বাকি ক্রিকেটারদের মতো মাহমুদউল্লাহও বেশ উৎফুল্ল- ‘আমরা ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেছি, ব্যাটিং করছি ৪-৫ সপ্তাহ হলো। ব্যক্তিগতভাবে অনেকগুলো কাজ করার ছিল। ব্যাটিং কোচের সাথে কথা হয়েছিল, সে নির্দেশনা অনুসারে কি কি কাজ করা দরকার ছিল বোলিং মেশিনে সেসব করেছি। এখন সতীর্থদের সাথে কাজ করছি, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা হচ্ছে। সতীর্থরাও বেশ উৎফুল্ল এবং আমিও। কারণ দিন শেষে এটা একটা দলীয় খেলা, দলের সবার সাথে মিলে অনুশীলনটা যদি উপভোগ করা যায়, ওটা আরও বেশি কার্যকর হয় নিজের জন্য ও সতীর্থদের জন্য।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর