সুনীল গাভাস্কারের মতো মানুষ বলছেন এ কথা! অবিশ্বাস লাগলেও ঘটনা সত্যি! আইপিএলে কমেন্ট্রি বক্সে বসে সুনীল গাভাস্কার রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক বিরাট কোহলি সম্পর্কে যা বলেছেন, সেটা কোন মতেই সভ্যতা-ভব্যতার পর্যায়ে পড়ে না। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাট হাতে কোহলির ব্যর্থতার পর সুনীল গাভাস্কার অযাচিতভাবে আনুশকা শর্মাকে টেনে এনেছেন। অন্তত সুনীল গাভাস্কারের মতো নীতিবোধ সম্পন্ন কোন ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমন হালকা এবং যৌন সুড়সুড়ি দেয়া মন্তব্য ক্রিকেট মহল আশা করেনি!
গাভাস্কারের এমন মন্তব্যে বিরাট কোহলি পর্যন্ত অবাক ও হতাশ হয়েছেন।
-শুনি কি বলেছেন সুনীল গাভাস্কার?
ম্যাচে ব্যাঙ্গালোর এবং বিরাট কোহলির ব্যর্থতা প্রসঙ্গে সুনীল গাভাস্কার হিন্দিতে হেসে হেসে বলেন-‘ ইন হোনে লকডাউন মে তো ব্যাস আনুশকা কি গেন্দ কি প্রাকটিস কি হ্যায়’!
বঙ্গানুবাদটা হবে এমন-‘ইনি তো লকডাউনে শুধু আনুশকার বলেরই অনুশীলন করেছেন’!
পরিস্কার অশ্লীল মন্তব্য। যৌন-শ্লেষ এবং ব্যঙ্গতার ছড়াছড়ি। গাভাস্কারের এই মন্তব্যের সঙ্গে ক্রিকেটের কি সম্পর্ক সেটা বোঝা গেল না। তাছাড়া ক্রিকেট মাঠে ব্যর্থতার জন্য কারো পারিবারিক জীবন বা তার স্ত্রী’কে টেনে আনার কি কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারে?
পারে না! ঠাট্টা করতে গিয়ে গাভাস্কার সম্ভবত সেই বোধবুদ্ধি ও বিবেক খুঁইয়ে বসেছিলেন!
গাভাস্কারের এমন মন্তব্যেও পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাকে ধুঁয়ে দিচ্ছে। দাবি উঠেছে তাকে স্টার ইন্ডিয়ার কমেন্ট্রি প্যানেল থেকে সরিয়ে দেয়ার।
টুইটারে মানাসা নামের একজন লেখেন-‘এই লোকটা (গাভাস্কার) কমেন্ট্রি বক্সে বসে সবসময় অপ্রত্যাশিত কথা বার্তা ও ‘‘কৌতুক’’ বলে নিজেকে খবরের মধ্যে রাখতে চায়। এটা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। কারো পরিবারকে নিজের কৌতুকের মধ্যে টেনে আনার অধিকার তাকে কে দিয়েছে’?
যখন মাঠের ক্রিকেটে ব্যাঙ্গালোর জিতে তখন কেউ আনুশকা শর্মার নাম বলে না। কিন্তু যখনই ব্যাঙ্গালোর হারে তখনই আনুশকাকে নিয়ে ঠাট্টা মস্করা শুরু হয়ে যায়! যার অনেকাংশই আবার চরম বিকৃতির পর্যায়ে পড়ে।