কাতার সফরে বিমান থেকে নামার পরদিনই দুঃসংবাদ শুনেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান ও ফিজিও ফুয়াদ হাসান হাওলাদার করোনা টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন। পুরো দলকে কাতারের করোনাকালীন বিধিবিধান অনুযায়ী তিনদিন নিজনিজ হোটেল কক্ষে থাকতে হবে। এমনকি খাওয়া-দাওয়া করার জন্য কক্ষের বাইরে পর্যন্ত কেউ আসতে পারবেন না। কক্ষের দরজার সামনে খাবার পৌছে যাবে। ডোর বেল বাজবে। এর ঠিক মিনিট খানেক পরে কক্ষের দরজা খুলে খাবারের প্লেট রুমে নিয়ে যেতে হবে। এই তিনদিন শারীরিক অনুশীলনের কাজও ফুটবলারদের সারতে হবে নিজ কক্ষে। ২৫ ফুটবলার ও ৯ জন কর্মকর্তাদের প্রত্যেকেই দোহার হোটেলে পৃথক কক্ষে থাকছেন। ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একে অন্যের সঙ্গে সবাই যোগাযোগ রাখছেন।
করোনা পজিটিভ হওয়া ম্যানেজার ও ফিজিও’র আগামী শনিবার আবার টেস্ট করানো হবে। সেই টেস্টেও তারা পজিটিভ হলে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে- সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি বাফুফে। তবে ফিজিও ফুয়াদ হাসান হাওলাদারের করোনা পজিটিভ নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) একটু বাড়তি দুঃশ্চিন্তায়। ফিজিও’র সঙ্গে দলের খেলোয়াড়দের যোগাযোগ সবচেয়ে কাছের। খেলোয়াড়দের ম্যাসাজ করা থেকে শুরু করে শারীরিক সমস্যা-সবকিছুই দলের ফিজিও দেখেন খুব কাছ থেকে। আর তাই সেই ফিজিও যখন করোনা পজিটিভ হয়েছেন তখন দলের আরো অনেক ফুটবলারও এখন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন-এমন আশঙ্কা থাকতেই পারে!
তবে স্বস্তির বিষয় হলো করোনাভাইরাস টেস্টে ফলস রেজাল্টের তালিকাও কম লম্বা নয়। বাফুফে আশায় আছে দোহা বিমানবন্দরে ম্যানেজার এবং ফিজিওর করোনা টেস্টের ফল যেন সেই ফলস তালিকায় পড়ে!
বাফুফের মিডিয়া এক্সিকিউটিভ নওমি বার্তা২৪কে জানান, ‘শনিবার দলের ম্যানেজার এবং ফিজিওর আরেকবার করোনা টেস্ট হবে। আশা করছি সেই টেস্টে তারা নেভেটিভ প্রমাণিত হবেন। আর তিনদিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার পর ফুটবলাররা অনুশীলনে নামবেন। ২৫ নভেম্বর প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের আগে ফুটবলারদের আরেকবার করোনা টেস্ট করা হবে। ৪ ডিসেম্বর কাতারের বিরুদ্ধে ফিফা প্রস্তুতি ম্যাচে নামার ৭২ ঘন্টা আগে তৃতীয়বারের মতো ফুটবলারদের করোনা টেস্ট হবে।’